বিশ্বে মাত্র ৫০০ জনের রয়েছে এই পাসপোর্ট, কী এর বিশেষত্ব

পাসপোর্ট হাতে থাকলেই যথা ইচ্ছা তথা যাওয়া যায় না। ভিসা বলে একটা পদার্থ রয়েছে, যার চক্কর কাটতে কাটতে জীবনের বহু ভ্রমণ-সাধই অপূর্ণ থেকে যায়। ভিসা অফিস থেকে নাকচ হয়ে ফিরে আসতে হয় অনেককেই।

কিন্তু এমন পাসপোর্ট কি রয়েছে, যা নিয়ে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যেতে পারে যত্র তত্র? উত্তরে বুজুর্গরা বলে উঠতেই পারেন, জার্মান পাসপোর্টই তো রয়েছে। যাতে ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ১৭৭টি দেশ ভ্রমণ করা যায়। কিন্তু প্রশ্ন শুধুমাত্র সংখ্যা দিয়ে নয়।

এমন এক পাসপোর্ট এই মরপৃথিবীতে রয়েছে, যা আসলে এক সম্মানের দ্যোতক। বিরল সম্মানের প্রতীক এই পাসপোর্টের অধিকারী মাত্র ৫০০ জন মানুষ! এই পাসপোর্ট চাইলেই সবাই পায় না, কী বিশেষত্ব এর?

‘সভেরিন মিলিটারি অর্ডার অফ মল্টা’— রোমান ক্যাথলিক ধর্মের এক বিশেষ অর্ডার। ১০৯৯ সালে ক্রুসেডের কালে এই অর্ডারের পত্তন ঘটান নাইট হসপিটালাররা। এই নাইটরা ইউরোপ থেকে সে যুগে পাড়ি দিয়েছিলেন জেরুজালেমে আহত ধর্মযোদ্ধাদের সেবা করার উদ্দেশ্যে।

রোমের প্যলাজ্জো মল্টায় এর সদর কার্যালয়। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য— ক্যাথলিক ধর্মের রক্ষা এবং দরিদ্রের সেবা। আজও এই অর্ডার এক প্রিন্স দ্বারা শাসিত। তিনিই এই অর্ডারের গ্র্যান্ডমাস্টার। বিশ্বের ১২০টি দেশে এই অর্ডার সক্রিয়। এই দেশগুলিতে সভেরিন মিলিটারি অর্ডার অফ মল্টা বিভিন্ন মানবিক ও সেবামূলক কাজ করে থাকে।

সভেরিন মিলিটারি অর্ডার অফ মল্টা-র কিছু বিশেষ সদস্যকে প্রদান করা হয় বিশ্বের বিরলতম পাসপোর্ট। এই মুহূর্তে তাঁদের সংখ্যা ৫০০। কেবল মাত্র এই অর্ডারের সভেরিন কাউন্সিলের সদস্য এবং বিশেষ মিশনে নিযুক্ত কিছু হাতে গোনা ব্যক্তিকেই প্রদান করা হয় এই পাসপোর্ট।

সভেরিন মিলিটারি অর্ডার অফ মল্টা এই ৫০০ জনকে ৪ বছরের জন্য এই পাসপোর্ট প্রদান করে। অর্ডারের সঙ্গে যে ১০৬টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেই দেশগুলিতে অবাধে যাতায়াত করা যায় এই পাসপোর্টে। ভিসার কোনও প্রয়োজনই পড়ে না। জার্মান পাসপোর্টে হয়তো ভিসা ছাড়াই অনেক বেশি দেশে ভ্রমণ করায় যায়, কিন্তু সভেরিন মিলিটারি অর্ডার অফ মল্টা-র এই পাসপোর্ট হল ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’। –এবেলা