বিয়েতে নারাজ প্রেমিককে ফাঁসির ছবি পাঠিয়ে অধ্যাপিকার আত্মহত্যা
দীর্ঘদিনের মেলামেশা। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া- সবই চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু বিয়ের করা নাম শুনলেই বেঁকে বসতেন প্রেমিক। তাই নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। অনেক বুঝিয়েও বিয়ের করার জন্য প্রেমিককে রাজি না করাতে পেরে হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠিয়ে আত্মঘাতী হলেন পশ্চিমবঙ্গের সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যাপিকা।
অধ্যাপিকার আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বীরভূমের সিউড়িতে। জানা গেছে, ওই অধ্যাপিকার নাম শুভ্রা মণ্ডল। তিনি বিদ্যাসাগর কলেজের জুওলোজি ডিপার্টমেন্টে আংশিক সময়ের জন্য অধ্যাপনা করতেন। আত্মহত্যার আগের মুহূর্তে গলায় দড়ি লাগিয়ে সেলফিও তোলেন তিনি এবং সেই ছবি তিনি পাঠান তার প্রেমিককে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপিকার প্রেমিক সুমন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর থেকে জানা যায়, বিএড পড়তে গিয়ে শুভ্রা মণ্ডল নামে ওই অধ্যাপিকার সঙ্গে পরিচয় হয় সুমন চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবকের। সেই সময় এমএসসি পড়া শেষ করে পিএইচডি-র জন্য চেষ্টা করছিলেন সুমন। আর শুভ্রা আংশিক সময়ের জন্য পড়াতেন বিদ্যাসাগর কলেজে। একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেও চাকরি করতেন ওই তরুণী।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে দু’জনের। পরিবারকেও সুমনের কথা জানান শুভ্রা। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিয়ের কথা বললেই বেঁকে বসতেন সুমন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তিও চলছিল। জানা গেছে, বিয়ের কথা বলায় ওই যুবক শুভ্রাকে বলেছিল, “তুই মরে যা। তুই মরে গেলে আমি বেঁচে যাই।”
এরপর রোববার রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে চলে যান শুভ্রা। পরে দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় বাড়ির লোকদের সন্দেহ হয়। কোনোক্রমে দরজা খুলে শুভ্রাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। পাশেই রাখা ছিল তার মোবাইল।
তাতে দেখা যায়, আত্মঘাতী হওয়ার আগেই সুমনকে শেষবারের মতো বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু সুমন তাতেও রাজি না হওয়ায় মৃত্যুর পথ বেছে নেন শুভ্রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে সিউড়ি থানার পুলিশ।
মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সোমবার আদালতেও তোলা হয়েছে তাকে।
এদিকে, শুভ্রার আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতার পরিবারের দাবি, সুমনের জন্যই তাদের মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। তাই অভিযুক্ত যেন যথাযথ শাস্তি পায়।
সূত্র- জিনিউজ, আনন্দবাজার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন