বিয়ে করলেন একজন, যৌতুকের মামলায় জেল খাটলেন আরেকজন
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিয়ে না করেও স্ত্রী দাবি করা এক নারীর যৌতুক মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন টিএম আল জুবায়ের (৪৩) নামে এক যুবক।
তিনি উপজেলার নছরতপুর গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আল জুবায়ের গাজীপুর জেলা শহরে শরীফ মেলামাইন কোম্পানির জোনাল ম্যানেজার পদে চাকরি করেন। তার শিক্ষা সনদের ফটোকপি কৌশলে হাতিয়ে নেন নছরতপুর গ্রামের মৃত তাহের মন্ডলের ছেলে জুয়েল মাহমুদ। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিচ্ছেদের পর ওই নারী কাগজপত্র দেখে টি এম আল জুবায়েরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যৌতুকের মামলায় তিনি গ্রেফতারের পর জেল খেটে বর্তমানে জামিনে আছেন।
গ্রেফতারের পর জুবায়ের চাকরি হারিয়েছেন। আর জুয়েল এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুবায়েরের শিক্ষা সনদের ফটোকপি দিয়ে গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন গ্রামের পূর্বপরিচিত জুয়েল। চাকরির সুবাদে একই প্রতিষ্ঠানের নারী সহকর্মীর সঙ্গে জুয়েলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শিক্ষা সনদ অনুযায়ী টি এম আল জুবায়েরের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন জুয়েল। ওই নারীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায়। তিন বছর পর জুয়েল তার স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান। স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ওই নারী বাদী হয়ে শিক্ষা সনদ অনুযায়ী টি এম আল জুবায়ের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন।
জুবায়েরের ভাষ্য, ওই মামলায় শুনানি শেষে কিশোরগঞ্জের আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই পরোয়ানা ধুনট থানায় পাঠানো হয়।
পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর গত মাসে তিনি আদালত থেকে জামিন পান।
কিন্তু আসল অপরাধী জুয়েল মাহমুদ এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি বলেন, জুয়েলের প্রতারণার কারণে তার চাকরি হারিয়ে আদালতে দৌড়াতে হচ্ছে।
জুয়েলের প্রতারণা নিয়ে তিনি ধুনট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তিনি জুয়েলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন