বৃষ্টির ভোগান্তি এড়াতে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে :শিক্ষামন্ত্রী

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর দিনে বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। আরও কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছালে সময় বাড়িয়ে দিতে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। তারপরও অনেক শিক্ষার্থী কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেননি। এতে এ বছর তুলনামূলক অনুপস্থিতির হার বেড়েছে।

বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও। তিনি আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের পরীক্ষার শিডিউল এলোমেলো হয়েছিল। আমরা তা বেশ কাটিয়ে উঠেছি। আগামী বছর পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে। যথাসম্ভব শুষ্ক মৌসুমে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

রোববার (৩০ জুন) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

অনুপস্থিতি নিয়ে বড় কোনো ব্যবধান চোখে পড়েনি দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার প্রথমদিনে এবার বৃষ্টি থাকায় কিছুটা সমস্যা তো হয়েছে বটে। তবে গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে খুব একটা মেজর (বড়) ব্যবধান বা সমস্যা দেখছি না। তারপরও আমরা চাই না শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ুক। একজন শিক্ষার্থীও যেন পরীক্ষায় অনুপস্থিত না থাকে, সেটাই চাই।

ঢাকার যানজটের বিষয় মাথায় রেখে সকাল ১০টার পরিবর্তে অন্য সময়ে পরীক্ষা শুরু করা যায় কি না- এমন প্রশ্নে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সকাল ১০টায় আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি। বিকেলের শিফটেও আমাদের পরীক্ষা থাকে অনেক সময়। আবার কিছুটা পিছিয়ে আপনি ১১টা বা ১২টায় শুরু করবেন, মাঝে নামাজের বিরতি রয়েছে। যারা পরীক্ষক থাকেন, তাদের নামাজের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, যানজট হয় শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক। আর আমাদের পরীক্ষাটা সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশের বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখাটা বেশি জরুরি। আমার বিশ্বাস, রাজধানীর পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হাতে সময় নিয়েই রাস্তায় বের হন। এখানে যারা থাকেন, তারা এ সমস্যাটার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি ডিএমপি আমাদের সহযোগিতা করছে। আশা করি, সময় নিয়ে সমস্যা হবে না।

এসময় সাংবাদিকরা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষার্থীর অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করেন। মন্ত্রী বিষয়টি ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানকে দেখতে বলেন। বোর্ড চেয়ারম্যান জানান, শুধু ওই শিক্ষার্থী নয়, যদি অন্য কোনো শিক্ষার্থী বৃষ্টিতে ভিজে বা অন্য কোনো কারণে পরীক্ষা দিতে আসার পথে অসুস্থ হয়ে পড়ে, মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের সুযোগ দেওয়া হবে।

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।