বেগম জিয়া আমাদের শত্রু নন : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেগম জিয়া আমাদের শত্রু নন। বিএনপিও আমাদের শত্রু নয়। কিন্তু বিএনপি আমাদের শত্রু ভাবে। তা না হলে ১৫ আগস্ট খুনিদের মদদ দিত না। ২১ আগস্ট এ ধরনের হামলা করত না। বারবার আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করেছে। বিএনপি শত্রুতা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকলে কিছু না কিছু ভুল হবেই। আমরা ধোঁয়া তুলশী পাতা নই। এ দাবি আমরা করিও না। কিছু অনুপ্রবেশকারী দলের নামে অপপ্রচার করে। তারা কিন্তু ছাড় পাচ্ছে না। যেই অপরাধ করুক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার আর খারাপ কাজের জন্য তিরস্কার।
সতর্ক থাকবে নেতাকর্মীরা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায়ের আগে ও পরে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আজ (মঙ্গলবার) থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণের জানমাল নিরাপত্তার স্বার্থে, প্রয়োজনে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করব। আমরা এখন ক্ষমতায় আছি। গায়ে পরে আমরা কেন দেশে অশান্তিডেকে আনব? তারা যদি উস্কানি দেয় হাইকোর্টের সামনে প্রিজনভ্যানে হামলা চালানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাহলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাতাদের সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের পক্ষ থেকে যেন কোনো প্রকার উসকানি না দেয়া হয় সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের সামনে যারা এরকম হামলা করতে পারে তারা ৮ তারিখেও এ রকম ঘটনা ঘটাতে পারে। বিএনপির পক্ষে এটা অসম্ভব নয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাতে পারে। যদি এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় জনসাধারণকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া এ মামলায় ১৫০ বার আদালতে যাওয়ার তারিখ পরিবর্তন করেছেন। সাড়ে আট মাস মামলার কার্যক্রম ব্যহত করেছেন। এ মামলার রায় কী হবে তার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আদালত স্বাধীনভাবে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হাছান মাহমুদ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিতরায় নন্দী, আবদুস সোবাহান, দেলোয়ার হোসেন, আবদুস সবুর,রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন