বেদুইনদের এক গ্রাম ১১৯ বার ধ্বংস করল ইসরায়েল
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় নেজেভ এলাকায় আরব বেদুইনদের একটি গ্রাম ১১৯ বার ধ্বংস করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টায় সর্বশেষ গ্রামটি গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী ও দাঙ্গা পুলিশ সদস্যরা।
আল-আরাকিব নামে ওই গ্রামের মোড়ল সিয়াহ আল-তৌরি আলজাজিরাকে বলেন, ‘তারা প্রতিটি দালান, বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, সবকিছু ধ্বংস করেছে।’
গ্রামটিতে ২২০ জনের মতো মানুষের বসবাস ছিল। ২০১০ সালের ২৭ জুলাই প্রথমবার গ্রামটি গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীদের সহায়তায় বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা আবার ঘরবাড়ি তুলেছেন।
‘রাষ্ট্রের বর্ণবাদী ও সন্ত্রাসী নীতির কারণে আমরা এখন অস্থায়ী বাড়িতে বসবাস করছি’, বলেন আল-তৌরি।
‘তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) জোর করে আমাদের সরিয়ে দিতে চায় এবং স্বীকার করতে চায় না যে আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক। তারা আমাদের স্বীকৃতি দেয় না। যদি তা-ই হতো, তাহলে আমাদের প্রাপ্য অধিকার দিত’, যোগ করেন ওই গ্রামের মোড়ল।
অনুমতি না নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে নেজেভে প্রায়ই উচ্ছেদ অভিযান চালায় ইসরায়েলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৈধভাবে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি নেওয়া প্রায় অসম্ভব। দক্ষিণ ইসরায়েলে বেদুইনদের ‘অননুমোদিত’ ৪০টি গ্রামের একটি আল-আরাকিব।
ইসরায়েলি বাহিনীর বারবার উচ্ছেদের পরও গ্রামটিতে থাকতে চান আল-তৌরি। তিনি বলেন, ‘যা-ই হোক না কেন, আমরা আমাদের পিতৃপুরুষের ভূমিতে থাকব।’
‘১৯১৪ সাল থেকে এখানে আমাদের কবর আছে। আমাদের ছয়টি কুয়া আছে, কিন্তু এগুলোর পানি পর্যন্ত পান করতে দেওয়া হয় না আমাদের।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন