বেনাপোল দিয়ে এলো ভারতীয় ৩৪ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ
প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) বিকেলে পাঁচটি ট্রাক ৩৪ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে আবারও আমদানি শুরু হলো।
ঈদুল আজহার আগে থেকে সারাদেশের ন্যায় বেনাপোলেও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম উঠেছে এলাকা ভিত্তিক প্রতি কেজি ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়। বেনাপোলে খুচরায় ২৫০ গ্রাম কিনলে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা ও আধা কেজি কিনলে বিক্রেতারা নিচ্ছেন ৩০০ টাকা। আবার অনেক স্থানে হাজার টাকাও ছাড়িয়েছে। অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
কাঁচা মরিচের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো. মেসার্স উষা ট্রেডিং, এন এস এন্টারপ্রাইজ ও এস এম কর্পোরেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছে। এসব অনুমতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স উষা ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, “দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৫ জুন আমরা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরে (খামারবাড়ী) কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করি। এরপর আমাদের আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।”
বেনাপোলে কাঁচামরিচের খুচরা ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে রবিবার সকালে বিক্রি হয়েছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজিতে। এখন আমদানি হচ্ছে, দু’একদিনের দিনের মধ্যে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারি কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, দেশের বাজারে ঈদের আগে থেকে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়ায় আজ থেকে আমদানি শুরু হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, এক বছর বন্ধ থাকার পর বেনাপোল দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। কৃষি মন্ত্রনালয় আজ রোববার থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছেন। আমদানি করা কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের উপ কমিশনার তানভীর আহমেদ বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ শূণ্য দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করে খালাশ প্রদান করছেন। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রতি কেজির মূল্য ৩২.২০ টাকা পড়ে। এর উপর মোট শুল্ক হার ৫৮ দশমিক ৬০ ভাগ। সরকারি শুল্ক দিয়ে প্রতি কেজির মূল্য দাঁড়ায় ৫২ টাকা। কাঁচা মরিচ বন্দর থেকে দ্রুত খালাশ দেয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন