বেপরোয়া চালকের কারণে ডুবতে বসেছিল দুই লঞ্চ
বেপরোয়া চালকের কারণে ডুবতে বসেছিল দুই লঞ্চ। প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় দুই লঞ্চ। একটি লঞ্চ অপর লঞ্চের পাশঘেষে গেলেও বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ফলে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন দুই লঞ্চের ২ হাজারের অধিক যাত্রী।
ঢাকা-পটুয়াখালী নৌরুটে চলাচলকারী কুয়াকাটা-২ ও ঢাকা-হাতিয়া নৌরুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-৪ লঞ্চের প্রতিযোগিতায় শনিবার ভোরে এ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন যাত্রীরা।
ঢাকা-হাতিয়া নৌরুটের এমভি ফারহান-৪ লঞ্চের যাত্রী আবুল কালাম বলেন, কুয়াকাটা-২ লঞ্চটি আমাদের লঞ্চটিকে কয়েকবার পাশ কাটাতে চেষ্টা করেছিল। আমাদের লঞ্চটিও খুব দ্রুত চলছিল। একপর্যায়ে আরও গতি বাড়িয়ে কুয়াকাটা-২ লঞ্চটি আমাদের লঞ্চকে পেছনের ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় অপরদিক থেকে আসা আরেকটি লঞ্চের মুখোমুখি পড়ে কুয়াকাটা-২ লঞ্চ। তখন যাত্রীরা চিৎকার করে ওঠেন। পরে কুয়াকাটা-২ লঞ্চটি আমাদের লঞ্চের সঙ্গে লেগে যায়। পাশাপাশি অপরদিক থেকে আসা লঞ্চটি পাশ কাটিয়ে চলে যায়। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান আমাদের লঞ্চের এক হাজারের অধিক যাত্রী।
কুয়াকাটা-২ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. আলী বলেন, আমাদের লঞ্চে এক হাজারের বেশি ছাত্রী ছিল। তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘাটে পৌঁছার আগে অপরদিক থেকে আসা লঞ্চকে সাইড দিতে গিয়ে পাশের একটি লঞ্চের সঙ্গে লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এতে যাত্রীরা হইচই করে ওঠেন। আমরা স্বাভাবিকভাবেই ঘাটে এসে পৌঁছেছি। কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
লঞ্চযাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চগুলো আগে পৌঁছানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি লঞ্চ পাশাপাশি চলার ক্ষেত্রে একে-অপরকে ধাক্কা দিয়ে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে যাত্রীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। বিআইডব্লিউটিএ’র কাছে অভিযোগ করলেও পরবর্তীতে লঞ্চ মালিকরা বৈঠক করে বিষয়টি সুরাহা করায় চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় না। অল্পতে পার পেয়ে যাওয়া বিলাসবহুল লঞ্চের মাস্টাররা পরবর্তীতে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন