বেরোবিতে নেই সাইকেল-মোটর সাইকেল গ্যারেজ : শঙ্কায় ভুক্তভোগিরা
এইচ. এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি)প্রায় পাঁচ বছর ধরে নেই পরিবহন পার্কিং ব্যবস্থা (নির্ধারিত স্থান)।ফলে যেখানে সেখানে সাইকেল-মোটর সাইকেল রেখে ক্লাস করায় শঙ্কায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। গ্যারেজ না থাকায় এতে যেমন হারাচ্ছে সাইকেল-মোটর সাইকেল তেমনি যাতায়াতের অসুবিধায় পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলেই।
জানা যায়, ২০১৩ সালের শেষের দিকে এক ঝড়ো হাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রাসেল চত্বরের পাশে সাইকেল-মোটর সাইকেল রাখার অস্থায়ী গ্যারেজ ভেঙে যায়।পরে সেটি আর ঠিক করা হয়নি এবং পুন:স্থাপন করা হয়নি।ফলে প্রতিটি সময় যানবাহন হারানোর আশংকা করছেন পরিবহন রাখা শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাবিরুল ইসলাম বলেন, আমরা নিরাপত্বাহীনতায় সাইকেল রাখি।সুতরাং সাইকেল গ্যারেজ স্থাপণ অতি জরুরী।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সিনিয়র অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, মোটর সাইকেল রেখে সব সময় হারানোর ভয়ে থাকি।নিরাপত্বাহীনতা সব সময় কাজ করে।অতএব দ্রুত সাইকেল-মোটর সাইকেল গ্যারেজের ব্যবস্থা করা হোক।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় উদীচী’র সভাপতি ওয়াদুদ সাদমান বলেন, একাডেমিক ভবনগুলোর সামনে এলামেলোভাবে সাইকেল-মোটর সাইকেল রাখায় আমাদের (শিক্ষার্থীদের) যাতায়াতে অসুবিধা হয়।এছাড়াও নিরাপত্তাহীনতা রয়েছেই।সুতরাং দ্রুত সাইকেল গ্যারেজের ব্যবস্থা করা হোক যাতে সেগুলো নিরাপদে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিতর্ক চর্চাকেন্দ্র এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেন, অনেক শিক্ষার্থী দূর-দূরান্ত থেকে আসে।তাদের পরিবহনের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই সাইকেল গ্যারেজ প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, পরিবহনগুলো সুন্দরভাবে এবং নিরাপদে রাখতে অবশ্যই একটি গ্যারেজের প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারির পরিবহন রাখতে গ্যারেজের ব্যাপারে আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে অতিদ্রুত প্রশাসনের সাথে কথা বলবো।
পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় চারটি একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি এবং প্রশাসনিক ভবনের দুইপাশে এলামেলোভাবে রাখা হচ্ছে সাইকেল-মোটর সাইকেল এবং শিক্ষকদের নিজস্ব গাড়ি।ফলে অনিরাপত্বা এবং পরিবহন হারানোর আশংকায় প্রতিটি প্রহর গুনেন ভুক্তভোগিরা। জানা গেছে, একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবন থেকে এ পর্যন্ত দুই/ তিনটি মোটর সাইকেল হারিয়ে গেছে।
পরিবহন গ্যারেজের বিষয়ে কল করলে উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে পরিবহন পুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পিএস আমিনুর রহমান বলেন, সাইকেল-মোটর সাইকেল গ্যারেজের বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন