বেরোবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে শিক্ষকদের অন্যান্য কাজ যথারীতি চলমান
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষকদের কর্ম বিরতির কারণে শিক্ষার্থী সম্পর্কিত সকল কাজ বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের অন্যান্য কাজ যথারীতি চলছে।
(৯ জুলাই) মঙ্হলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সম্প্রসারণ এর পরিচালক প্রফেসর ড. সাইদুল হক স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের গবেষণা প্রকল্পের জন্য সকল বিভাগের শিক্ষকদের আহ্বান জানানো হয়।
উক্ত পত্রের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের গবেষণা কার্যে সহায়তা করার লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে গবেষণা মঞ্জুরী বাবদ (বাজেট কোড-৩৬৩১১০৮) প্রাপ্ত অর্থ বরাদ্দ প্রদানের জন্য গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বান করা হয়। এছাড়াও গবেষণা প্রকল্পসমূহ আগামী ২৫ জুলাই ২০২৪ এর মধ্যে গবেষণ্য ও সম্প্রসারণ দপ্তরে (প্রশাসনিক ভবনের ১২২ নং কক্ষে) জমা প্রদান করতে বলা হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্লাস, পরীক্ষা এবং ক্যাম্পাসের যানবাহন বন্ধ থাকায় স্থবিরতা নেমে এসেছে নিয়মিত শিক্ষা-কার্যক্রমে। শিক্ষকরা আহ্বান না করায় শিক্ষার্থীদের হচ্ছে না কোন ক্লাস-পরীক্ষা।
একাডেমিক ব্যস্ততার জায়গাগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য দপ্তরেরও একই অবস্থা। এমনকি শিক্ষার্থীদের চলাচলের সকল পরিবহন বন্ধ রাখাই শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক কাজের জন্য যাতায়াতে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো খুললেও কোন শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। অধিকাংশ শ্রেণীকক্ষ ও পরীক্ষা কক্ষগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। কর্মচারীরা আসলেও তারা অলস সময় পার করছেন। ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশের দীর্ঘ ছুটির পর আবারো ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
অধিকাংশ শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল কিন্তু শিক্ষকদের ধর্মঘটের কারণে তা স্থগিত রয়েছে। কবে যে আবার পরীক্ষা হবে? পরীক্ষার মাঝে এ অনিশ্চয়তা ভালো লাগে না।
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনেক চেষ্টার ফলে আমাদের ক্যাম্পাস সেশনজট মুক্ত হয়েছে। কিন্তু এ আন্দোলন দীর্ঘ্য মেয়াদি হলে আবারো সেশনজটে পড়বো।
জানা যায়, সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে ১লা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এ কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল লিখিত বক্তব্যের মাথমে গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ জারিকৃত ‘প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার প্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন কার্যকর না হওয়ায় পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বেরোবিতে সকল ক্লাস, পরীক্ষা, সমন্বয় সভা, ভর্তি কার্যক্রম ও প্রভোস্ট অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পক্ষান্তরে আজ ৯ জুলাই ২০২৪ (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সম্প্রসারণ এর পরিচালক প্রফেসর ড. সাইদুল হক স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের গবেষণা প্রকল্পের জন্য সকল বিভাগের শিক্ষকদের আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর ড. সাইদুল হককে ফোন করা হলে তাকে ফোন কলে পাওয়া যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন