বেরোবিতে ব্রুডা’র সভাপতির বিরুদ্ধে এবার সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ!
এইচ. এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বেরোবি) বিতর্ক সংগঠন ব্রুডার সভাপতি ও ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বিভাগের শিক্ষার্থী রক্তিম মিলনের বিরুদ্ধে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ( বেরোবিসাস)সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে হেনস্থার বিষয়টি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি সাংবাদিক দৈনিক প্রথম খবরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন রিফাত।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ নভেম্বর চলমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বেশ কয়েকজন ভর্তি পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন যে, ব্রুডাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের হেল্প ডেস্কে সেবার নামে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে সত্যতা যাচাই করার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান রিফাত।
এতে অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও ব্রুডা’র সভাপতি রক্তিম মিলন তা না করে ঘটনাটি ধাঁমাচাপা দেওয়ার জন্য উল্টো তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়া হলেও ওই সংবাদ কর্মীকে মারধর করে পুলিশে দেয়ার হুমকী দেন রক্তিম মিলন।
এ সময় মিলনের সাথে থাকা ব্রুডার অপর সদস্য ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী অমিত বর্মণ অভি ওই সাংবাদিককের উপর চড়াও হন এবং সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ওই স্থানে অবস্থান করতে বলেন বলে জানান ঐ সাংবাদিক।
ইসমাইল হোসেন রিফাত তার লিখিত অভিযোগের অনুলিপি উপাচার্যের পিএস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, বহিরাঙ্গনের পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ, রংপুর প্রেস ক্লাব, রিপোর্টাস ক্লাব, রংপুর সিটি প্রেস ক্লাব ও প্রথম খবর অফিসে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে মিলনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রিফাত ( ভুক্তভোগি সাংবাদিক) আমাকেই হেনস্থা করেছে।
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বেরোবিসাস) সভাপতি তপন কুমার রায় বলেন, সমিতির কাছে একজন সদস্যকে হেনস্থার বিষয়টি সমিতিকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্ঠা করেছি। কিন্তু অভিযুক্ত রক্তিম মিলন তাতে সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) আবু কালাম মো: ফরিদ উল ইসলাম বলেন, একটি অভিযোগের বিষয় শুনেছি। তবে অফিস বন্ধ থাকায় অভিযোগ পত্র পাইনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ অক্টোবর মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন ব্রুডার ১২ জন সদস্য । সেই সময় মিলনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক যেকোন সিদ্ধান্ত এককভাবে গ্রহণ করা, স্বেচ্ছাচারিতা, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আইসিটি বিতর্ক উৎসবে ব্রুডার সামগ্রিক অর্জনের ফল একাই কুক্ষিগত করা, চ্যাম্পিয়ন টিমের প্রতিশ্রুত অর্থ ব্রুডার তহবিলে প্রদান না করা, আর্থিক হিসাব নেয়া দেয়া, অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেছিল পদত্যাগ করা ব্রুডার ওই ১২ সদস্য।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন