বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত, ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনকারীদের নিয়োগের নির্দেশ
বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এন্ট্রি লেভেলের ৫৪ হাজারের অধিক শিক্ষক পদে নিয়োগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে হাইকোর্ট বলেছে, আগামী সপ্তাহে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনকারীদের সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তত দিন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি তা স্থগিত থাকবে।
এদিন আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।
এনটিআরসিএর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও বলেন, ‘এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী প্রায় দেড় হাজার জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে গত ৩০ মার্চ প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি এই সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।’
এর আগে ৭ মার্চ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
একই সঙ্গে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে বলেন আদালত।
আদালতের ওই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় পুনরায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক (এনটিআরসিএ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ওই সময় আদালত অবমাননার বিষয় নিষ্পত্তি না করে কোনো শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের বিষয় ও পদভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে, এ নিয়োগ চক্রে ২ হাজার ২০৭টি পদ সংরক্ষণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে শূন্য পদের সংখ্যা ৩১ হাজার ১০১টি, যার মধ্যে এমপিওভুক্ত ২৬ হাজার ৮৩৮টি এবং নন এমপিও পদ ৪ হাজার ২৬৩টি। মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ২০ হাজার ৯৯৬টি পদের মধ্যে এমপিওভুক্ত ১৯ হাজার ১৫৪ এবং নন এমপিও ১ হাজার ৮৪২টি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন