বৈরুতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০
বৈরুতের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন শতাধিক। আহত হয়েছেন চার হাজারের বেশি।
বুধবার লেবানিজ রেড ক্রোস এমন তথ্য দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের টিম এখনো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
দেশটিতে বুধবার শুরু হওয়া এ রাষ্ট্রীয় শোক শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
লেবাননের কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণস্থলের ধ্বংসস্তূপ সরাতে এখনও কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বুধবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
দেশটিতে দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
লেবানন রেডক্রসের প্রধান জর্জ কেটানি বলেন, আমরা একটি মারাত্মক বিপর্যয়ের প্রত্যক্ষদর্শী হলাম। বৈরুতের সবখানেই এখন আহত আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
পরিস্থিতি সামলাতে সরকার জরুরি ভিত্তিতে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল ৬টার পর পর ওই বিস্ফোরণে বৈরুত ছাড়াও আশপাশের অনেক শহর কেঁপে ওঠে।
কম্পন অনুভূত হয় ২৪০ কিলোমিটার দূরের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসেও, সেখানকার বাসিন্দারা এ ঘটনাকে ভূমিকম্প বলে মনে করেছিলেন।
বন্দরের এক বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদামে মঙ্গলবারের ওই বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয় আগুনের মাধ্যমে; বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ার মেঘ কয়েক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এক টু্ইটে বলেছেন, কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বন্দরে মজুদ করে রাখা হয়েছিল, যা কোনোভাবে ‘গ্রহণযোগ্য নয়’।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন