বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রাকিবের পরিবারের পাশে যুবদল

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের পরিবারকে মাহে রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী উপহার দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জের পুনাইল গ্রামে রাকিবের শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ও নবজাতক কন্যা সন্তান সাবরিনা বিনতে সিদ্দিকার সার্বিক খোঁজ খবর নেন।

পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে যুবদল নেতা পাপ্পু মাহে রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী রাকিবের স্ত্রীর কাছে তুলে দেন।

উপহার দেয়া পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আটা, দুধ, চিনি, ডিম, মুরগি, মুড়ি, খেজুর, ছোলা, ট্যাংক, লবন, বেসন, সেমাই, নুডুলস।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সোনার আংটি উপহার দিয়ে নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের কন্যাকে বরণ করে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু।

জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্ট অভুত্থানে ২০ জুলাই কারফিউ ভঙ্গ করে আমরা কলতাপাড়া বাজারে অবস্থান নেই। ওইদিন রাকিব আমাদের সাথে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গত ১৯ জানুয়ারি রাকিবের স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

আমরা নতুন অতিথিকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সোনার আংটি দিয়ে বরণ করেছি। আজকে রমজান উপলক্ষে তারেক রহমানের পক্ষে পরিবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি রাকিবের স্ত্রী ও কন্যার পাশে দাঁিড়য়ে তাদের সুন্দর ভবিষ্যত যেন তারা নিশ্চিত করে।

শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের শ্বশুড় সাহাব উদ্দিন বলেন, আমার জামাতা রাকিব নিহতের পর আমি স্ট্রোক করে কর্মক্ষম হয়ে পড়েছি। আমার মেয়ে ও নাতনি এখন আমার বাড়িতেই বসবাস করছে। কিন্ত এখন আমার তো আগের মতো আয়- রোজগার নেই।

সংসারে কিছুটা টানাটানি আছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আমার মেয়ে নাতনির পাশে যেন তারা সহযোগিতার হাত বাড়ায়। তাদেরকে যেন সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না করে।