বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধের ৪০ দিন পর মারা গেলেন সাব্বির

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট কুমিল্লায় পুলিশের গুলিতে আহত মো. সাব্বির (১৭) মারা গেছেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। সাব্বির দেবিদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলমগীর মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর সারাদেশের মতো দেবিদ্বার উপজেলায়ও ছাত্র-জনতা উল্লাসে মেতে উঠে, চলে আনন্দ মিছিল। একপর্যায়ে কিছু দুষ্কৃতকারী থানায় আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেয় পুলিশের পিকআপ ভ্যান। এ সময় থানায় থাকা পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে পুলিশ গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয় স্থানীয় সাংবাদিকসহ প্রায় ৬০ জন ছাত্র-জনতা।

ওই সময় সাব্বির মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওইখানে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাব্বির বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার একদিন পরই শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

সাব্বিরের মা রিনা বেগম বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে শুক্রবার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি আসি। কিন্তু সকালে আমার ছেলেটি মারা গেলো। দুই বছর আগে সাব্বিরের বাবা মারা যাওয়ায় তার আর লেখাপড়া করা হয়নি। সিএনজি চালিয়ে সংসারের হাল ধরে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ দাফন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাব্বিরের পরিবারের পাশে আমরা সব সময় থাকবো।