বোরকা পরে স্বামীর রিকশায় চড়লো লাশ

বোরকা পরিয়ে সুমাইয়া আক্তার মুন্নি (১৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ তোলা হয় রিকশায়, পাশেই বসেছিলেন সতিন নার্গিস। অনেক দূরে নিয়ে মুন্নির লাশ ফেলে দেয়া হয়। আর ওই রিকশার চালক ছিলেন স্বামী সাদ্দাম হোসেন।

এমন ঘটনাই ঘটল আশুলিয়া থানার বোরি বাজার এলাকার জনৈক লাকির বাড়িতে। নিহতের ছোট ভাই সোহেলের অভিযোগ, স্বামী সাদ্দাম ও তার প্রথম স্ত্রী নার্গিস মিলে সুমাইয়াকে হত্যা করেছে।

হত্যার পর সুমাইয়া আক্তার মুন্নির (১৮) লাশ বোরকা পরিয়ে রিকশায় বসিয়ে এনে বুধবার রাতে শ্রীপুরের ভিটি পাড়া গ্রামে আবুলের বাড়িতে ফেলে পালিয়ে গেছে স্বামী-সতিন। নিহত সুমাইয়া কাপাসিয়া উপজেলার চারবাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেলের মেয়ে।

জানা যায়, চিনাশুখানীয়া গ্রামের চান মিয়ার পুত্র সাদ্দাম হোসেন প্রথম স্ত্রী নার্গিসকে রেখে আড়াইয় মাস আগে সুমাইয়াকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে রিকশাচালক সাদ্দাম দুই স্ত্রীকে নিয়ে আশুলিয়া থানার বোরি বাজার এলাকার জনৈক লাকির বাড়িতে ভাড়া থাকত। দুই সতিনের মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত।

বুধবার সকালে সাদ্দাম রিকশা নিয়ে বের হওয়ার সময় তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। সাদ্দামের পরিবারের দাবি, ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে সুমাইয়া ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

নিহতের ছোট ভাই সোহেল জানায়, সুমাইয়ার মৃত্যুর পর তাকে বোরকা পরিয়ে রিকশায় বসিয়ে সুমাইয়ার গলা ধরে নার্গিস বসে থাকে। সাদ্দাম রিকশা চালিয়ে সুমাইয়ার লাশ আশুলিয়া থেকে শ্রীপুরের চিনাশুখানীয়া গ্রামে তার খালু আবুল হোসেনের বাড়িতে এনে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ বুধবার রাতে সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানা এলাকায়। তাই এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবে আশুলিয়া থানা পুলিশ।