‘ব্যক্তি নয়, পদ্ধতিই হবে দুদকের মুখ্য বিষয়’
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘কমিশনে এমন পদ্ধতি সংযোজন করতে চাই, যেখানে ব্যক্তি নয়, পদ্ধতিই হবে মুখ্য বিষয়।পদ্ধতিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে এডিবিসহ সবার সহযোগিতার প্রয়োজন।’
বুধবার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তারা পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এক পরীক্ষিত অংশীদার। দুদকের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন অবকাঠামো, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও কমিশনের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজড করার ক্ষেত্রে এডিবির ভূমিকা প্রশংসনীয়।
দুদক সম্পর্কে মানুষের ধারণার ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজসহ সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। কমিশন শুধু গ্রেফতারর বা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকেও সামনে নিয়ে এসেছে।
কমিশন মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দেশের প্রায় ২১ হাজার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুদকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উত্তমচর্চা বিকাশে ‘সততা সংঘ’ গঠন করা হয়েছে। ছয় শতাধিক বিদ্যালয়ে ‘সততা স্টোর’ গঠন করা হয়েছে। এসব সততা সংঘের সদস্যদের মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ দুদকের দুর্নীতি প্রতিরোধ, মূল্যবোধ জাগানোর চেষ্টা, প্রযুক্তির ব্যবহার, পদ্ধতিগত সংস্কারমূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করার আশ্বাস দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন