ব্যাংকে এক লাখের বেশি রাখলে কাটা হবে ‘দেড়শ টাকা’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যাংকে এক লাখ টাকার বেশি জমা রাখলে দেড়শ টাকা কেটে রাখা হবে। এছাড়া আগামী দুই বছরে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না করতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগে এক লাখ টাকার বেশি রাখলে ৫০০ টাকা দিতে হত এখন দেড়শ টাকা কাটা হবে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আাবদুল মুহিতকে অনুরোধ জানান তিনি।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আহরণে সংসদে যে আলোচনা হয়েছে সেটা মনোযোগ সহকারে শুনেছি। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে তিনটি বিষয়ে নজর দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে সঞ্চয়ী হিসাবে কেউ যদি ২০ হাজার টাকার বেশি রাখলে নির্দিষ্ট হারে আবগারি শুল্ক দিতে হত। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বলার কারণে মানুষ এটিকে উল্টো বুঝেছে। আগে এমন ছিল ২০ হাজার টাকা জমা থাকলে আবগারি শুল্ক দিতে হত না। কিন্তু ২০ হাজার টাকার বেশি হলেই দিতে হত।
অর্থমন্ত্রী এক লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ী হিসাবকে শুল্কমুক্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু সবাই বুঝেছে উল্টো এবং অপপ্রচার হয়েছে লাখ টাকা থাকলেই এক হাজার টাকা কাটা হবে। কিন্তু আসলে তিনি এক লাখ টাকা পর্যন্ত সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত করে দিয়েছিলেন। কাজেই আমি আশা করি এ বিষয়টা অর্থমন্ত্রী আরও পরিষ্কার করে দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী এক লাখ টাকার বেশি থেকে এক কোটি পর্যন্ত শুল্কহার বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি (এক লাখ টাকার বেশি থেকে এক কোটি পর্যন্ত) এটিকে তিনটি স্তরে দিয়ে যেন শুল্কহার আর না বাড়ান। আশা করি এটা তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে ঘোষণা দেবেন। ওই সময় কত টাকা দিতে হত এখন তিনি কত কমিয়ে দিয়েছেন তা বলবেন।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমার মনে হয় আর কারও কোনো সন্দেহ থাকবে না। কারণ এক লাখ টাকার বেশি থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত আগে যেটা ৫০০ টাকা দিতে হত এখন মাত্র দেড়শ টাকা দিতে হবে। ৫-১০ লাখ টাকা- যেটা ৮০০ টাকা করা হয়েছিল সেটা দিতে হবে ৫০০ টাকা।
ভ্যাটের বিষয়ে তিনি বলেন, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ সালে করা। এটির সংশোধনীও ২০০৮ সালে। এই আইনের খসড়া নিয়ে আমাদের সরকার প্রায় সাড়ে তিন বছর কাজ করে। এই আইন নিয়ে অনেক কথা উঠছে। ব্যবসায়ীরা তেমন একটা সাড়া দিচ্ছেন না। তাই অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করব অন্তত আগামী দুই বছরে এটি যেন বাস্তবায়ন করা না হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন