ব্রণের চিকিৎসায় চুমু : পপুলারের সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি
যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসক শওকত হায়দারকে অব্যাহতি দিয়েছে পপুলার হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে এখন থেকে তিনি পপুলারে রোগী দেখতে পারবেন না।
সোমবার বিকালে পপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত কুমার নাগ বলেন, ‘শওকত হায়দার আমাদের এখানে ফুলটাইম চিকিৎসক ছিলেন না। তিনি সপ্তাহে দুদিন আমাদের এখানে বসতেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাকে আর চেম্বারে বসতে দেব না।’
শনিবার রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর গালে ব্রন দেখতে গিয়ে চুমু দেন চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন শওকত হায়দার। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ওই তরুণী ও চিকিৎসকের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই রেকর্ড অনুযায়ী, মেয়েটি যখন তার গালে চুমু দেওয়ার কারণ জানতে চান, তখন পুরুষ কণ্ঠে একজন বলেন, গালে ইনফেকশন আছে কি না, এটা বুঝতে তিনি চুমু দিয়েছেন।
রবিবার ওই তরুণী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্বকে ব্রণের সমস্যা নিয়ে পরিচিত একজনের রেফারেন্সে প্রথমবার পপুলার হাসপাতালের ওই ডাক্তারের কাছে যান তিনি। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার প্রয়োজনে আরও কয়েকবার প্রায় বাবার বয়সী ডাক্তারের কাছে যান তিনি। সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে ওই তরুণী ডা. শওকতকে জানান তার ত্বকের সমস্যা আবার বেড়েছে, রাতে তিনি চেম্বারে বসবেন কি না? এসময় ওই ডাক্তার চেম্বারেই আছেন জানিয়ে মেয়েটিকে তখনই যেতে বলেন। পরে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে ওই তরুণী জানতে চান তার সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান আছে কি না। এসময় সেই ডা. শওকত বলেন, যদি চাইলে একটি ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে। তবে ইনজেকশনটি কোমরে দিতে হবে। মেয়েটির ইতস্ততভাব দেখে ওই ডাক্তার তাকে বলেন, কাপড়ের উপর দিয়েই ইনজেকশন দেয়া যাবে।
মেয়েটি তার অভিযোগে জানান, ইনজেকশন দিতে রাজি হয়ে পেসেন্ট টেবিলে শুলে ওই ডাক্তার মেয়েটির বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকেন। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, কোথায় ইনজেকশন দিলে ভালো হয় তা চেক করে দেখছিলেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন