ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে ওঠা চরে আশ্রয় নেয়াদের মুখে হাসি ফোঁটালো ‘ইয়ুথনেট’

চলতি বছরের বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার দুই শতাধিক চরবাসীর পাশে ত্রান সহায়তা দিয়েছে জলবায়ু অধিকার ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ইয়ুথনেট’। দুপুরে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে জেগে ওঠা নতুন একটি চরে আশ্রয় নেয়া দুইশত পরিবারের মাঝে এসব ত্রান সহায়তা বিতরণ করা হয়।

ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে শীত নিবারণের কম্বল, স্যানিটেশন ল্যাট্টিন, টিউবওয়েল, ঢেউটিন, ভিটেমাটি উঁচুকরণে নগদ অর্থ, সেলাই মেশিন ও বিভিন্ন সবজি বীজের চারা দেয়া হয়। এসময় যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ও চরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে ওঠা এ চরের নামটি সংগঠনের নামে ‘চর ইয়ুথনেট’ হিসেবে ঘোষনা দেন যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর।

তিনি বলেন,’আমরা যারা চরাঞ্চলে বসবাস করি আমাদের প্রতিদিন সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। বন্যা, শীত , খড়া সবসময় আমাদের প্রকৃতির সাথে লড়াই করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। নতুন এই জেগে ওঠা চরটি নতুন নাম পেয়ে আমরা খুবই খুশি।’

ইয়ুথনেট এর নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে আমরা জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্থদের অধিকার নিয়ে কাজ করছি। আমরা ইতিপূর্বে হাওর, সমুদ্র ও পাহাড় অঞ্চলে কাজ করে দেখেছি সেখানকার পরিবেশের থেকে সব থেকে বেশি কষ্টে আছেন কুড়িগ্রামের মানুষ। আমরা জলবায়ুর পাশাপাশি এ অঞ্চলের চরের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবো।’

ইয়ুথনেট সংগঠনটির কুড়িগ্রাম জেলা টিমের সমন্বয়ক সুজন মোহন্ত বলেন, ‘ আমাদের কুড়িগ্রামে ৪২০ টি চর-দ্বীপচর রয়েছে। পাশাপাশি নতুন আরেকটি চর আমাদের সংগঠনের নামে হলো। আমাদের এখানে আরো দায়বদ্ধতা রয়েছে আমরা আরো বেশি করে কাজ করবো।’

উপকারভোগী শাহিনা বেগম বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করতাম। চরে চলাফেলা খুবই কষ্ট হতো। সেলাই মেশিনটি পেয়ে আমার খুব উপকার হবে । আমার দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারবো।’

ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইয়ুথ নেট এর ইভেন্ট ও প্রোগ্রাম সমন্বয়ক এস জেড অপু, নেটওয়ার্ক ডেভলপম্যান্ট সমন্বয়ক জিমরান মোহাম্মদ সায়েক, গাইবান্ধা জেলা টিমের সমন্বয়ক রোভার মারুফ হাসান,

যাত্রাপুরের ইউপি সদস্য রহিম উদ্দিন হায়দার রিপন, চেয়ারম্যান পুত্র আলহাজ্ব ওমর ফারুক প্রমুখ।