ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আর জর্জ ক্লুনির ‘গোপন ইচ্ছা’
অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এবং হঠাৎ করেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডেভিড ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হন থেরেসা মে। এই আচকমা ঘটনার কারণেই থেরেসার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আরো বেশি জানাতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন সাংবাদিকরা।
গোপনীয়তার সঙ্গেই ব্যক্তিগত জীবন যাপন করেন থেরেসা। তাই ব্রিটেনের নয়া কাণ্ডারী সম্পর্কে মানুষ তেমন কিছুই জানে না। তিনি আরো বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও নেতাদের একজন যারা টেমসনদীর তীরের এক গ্রামের আশীর্বাদপুষ্ট। সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে মাত্র এক ঘণ্টার পথ ওই গ্রাম।
তিনি তার ওয়েস্টমিনিস্টার ফ্ল্যাট কিংবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন বাসভবনে থাকেননি। থেরেসা এবং তার স্বামী ফিলিপ ছুটির সময়টা কাটিয়েছেন সোনিংয়ে। সেখানে তাদের প্রতিবেশী ছিলেন নতুন ফরেন সেক্রেটারি বোরিস জনসন। এই ভদ্রলোক ব্রেক্সিট এবং জেপলিনের গিটারিস্ট জিমি পেজের জন্যে ক্যাম্পেইন করেছিলেন। সেখানে আরেকজন আছেন- ইউরি গেলার।
এই ইসরায়েরি বংশোদ্ভূত জাদুকর সোনিংয়ে বাস করেন ১৯৮০ এর দশক থেকে। তিনি তার ১৫ মিলিয়ন ডলারের ম্যানশন বিক্রি করে তেল আবিব পাড়ি জমানোর চিন্তা করছেন। এখানে বাড়ি কিনতে আগ্রহী টেইলর সুইফট, ব্র্যাড পিট বা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো তারকারা।
সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আরো দুই প্রতিবেশী আছেন যাদের কথাই এখানে বলা হচ্ছে। তারা জর্জ এবং আমাল ক্লিনি দম্পতি। হলিউড তারকা এবং তার আইনজীবী স্ত্রী বছর দুয়ের আগে এখানে ৯ বেডরুমের একটি বাড়ি কিনেছেন। এই বাড়িটি আবেরলাশ হাউজ নামেই পরিচিত। সেই ১৭ শো শতকে বানানো। এই জায়গাটি দারুণ পছন্দ জর্জ ক্লুনির। সেই সঙ্গে পছন্দ প্রধানমন্ত্রী থেরেসে মে’র।
কিন্তু সোনিং কেন দুজনের এতটা প্রিয়? আসলে তাদের দুজনের নয়। অনেক সেলিব্রিটির প্রিয় স্থান। নধীর তীরের শহর হওয়াতে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের তুলনা নেই। সোনিং একটি গ্রাম যা ধীরস্থির ও শান্ত প্রকৃতির। মিল থিয়েটার বা ফ্রেঞ্চ হর্নের মতো আকর্ষণীয় ফিচার রয়েছে এখানে।
এখানে আরেকটি জিনিস আছে যা সব বিখ্যাত ব্যক্তিদের চাওয়া। তা হলো, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা। অর্থাৎ, পাপারাজ্জিদের পেরেশানি নেই। তাই বিশেষ করে সেলিব্রিটিরা এখানে বাড়ি কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জর্জ ক্লুনির হয়তো গোপন চাওয়া ছিল আমালকে নিয়ে এমনই কোনো নিভৃত স্থানে বসবাস করা। ঠিক তেমনই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জীবন সম্পর্কে যখন সাবই জানতে আগ্রহী, তখন তিনি তার স্বামীকে নিয়ে এমনই এক স্থানে চলে আসেন যেখানে কেউ তাদের ঘাঁটাতে পারবে না। এটাই হয়তো তার গোপন ইচ্ছা।
সূত্র : ইন্টারনেট
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন