বড় বাজারে কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা স্থাপনা গড়ে তোলার অভিযোগ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সুলতানপুর বড় বাজারে সরকারি জায়গায় একের পর এক পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাউলের বাজারের পাশে একটি দোকানে কোর্টের নিষেধাজ্ঞা আদেশ থাকার পরেও পাকা স্থাপনা করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগেও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কয়েক অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছেন। তারপরেও কিভাবে পাকা স্থাপনা করছে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের নজরদারিতে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ থাকলে সরকারি ছুটির দিনে পাকা স্থাপনা গড়ে তোলার আশঙ্কা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা বলেন, পুরাতন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হোক এবং নতুনভাবে যাতে কোন প্রকার অবৈধ স্থাপনা না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সুত্রে জানা যায়, সুলতানপুর বড় বাজারে মো. নুরুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আব্দুর রশিদ ও খায়রুল আলম বিজ্ঞ সদর সহকারী জজ আদালতের দেং-১৫২/১৪ নং মামলায় বিজ্ঞ জজ জোয়ার্দ্দার আমিরুল ইসলাম কর্তৃক প্রদত্ত গত ইং-২৫/৯/১৭ তারিখের নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে পাকা দোকানঘর নির্মাণের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা জজ আদালত, সাতক্ষীরার দেওয়ানি মোকাদ্দমা নং মি আ ৩৮/১৭ থাকা সত্বেও চাউলের বাজারের পাশে ড্রেন বন্ধ করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে টিনের ঘেরা দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বিজ্ঞ আদালতের রায়ের কপি সুত্রে জানা যায়, নালিশী জমি সরকার পক্ষের খাস সম্পত্তি। জমির খতিয়ান নং ২৮৮৬০, দাগ নং ১৮১৬৫, জমিটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরার নামে মালিকানাভুক্ত। এর পরেও উক্ত সম্পত্তির উপর পাকা অবৈধ স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকার পক্ষ কতৃক ইজারা দেয়া সম্পত্তিতে পাকা স্থাপনা নির্মানের ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘সরকারী সম্পত্তিতে কেহ পাকা স্থাপনা নির্মান করতে পারবে না। বাজারে অস্থাপনা নির্মাণের খবর আমরা শুনেছি। আমার অফিসে লোক গিয়ে তা দেখে এসেছে। যদি কেহ এভাবে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে তাহলে আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল বলেন, ‘সরকারের সম্পত্তি একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে পাকা ঘর তোলা যায় না। তাছাড়া কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যদি অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মান করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘বন্দোবস্তকৃত সরকারের সম্পত্তিতে পাঁকা স্থাপনা নির্মানের কোন এখতিয়ার নেই। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাঁকা স্থাপনা নির্মানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন