বড় ভাবিকে বিয়ের পর কিশোরের আত্মহত্যা!

বয়সে ১০ বছরের বড় ভাবিকে বিয়ের দুই ঘণ্টা পর আত্মহত্যা করেছে ভারতের বিহার রাজ্যের গায়া জেলার এক কিশোর।

গত মঙ্গলবার ভোরে জেলার পারাইয়া থানার ভিনোবা নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই কিশোরের নাম মাধব দাস (১৫)। সে স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিধবা হন মাধবের ভাবি রুবি দেবী (২৫)। তার বড় ভাই সন্তোষ দাসের সংসারে রুবির দুই সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী রুবিকে বিয়ে করার জন্য মাধবকে চাপ দিয়ে আসছিল। পরে গত সোমবার রাতে গ্রামের একটি মন্দিরে ভাবির সঙ্গে মাধবের বিয়ে হয়।

পুলিশ আরো জানায়, বিয়ের পরপরই বাড়ি চলে যায় মাধব। পরদিন ভোরে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। মাধব ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মাধবের বাবা চন্দ্রেশ্বর দাস জানান, রুবি মাধবকে নিজের সন্তানের মতো দেখাশোনা করতেন। তাঁকেই বিয়ে করতে হবে বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সে।

চন্দ্রেশ্বর আরো জানান, তাঁর বড় ছেলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করত। তাঁর মৃত্যুর পর ওই কোম্পানি ৮০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়। ওই ক্ষতিপূরণের অর্থ নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেন তিনি।

পরে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি জানতে পারেন পূত্রবধূ রুবির মা-বাবা। তাঁরা পুরো অর্থ রুবির অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়ার জন্য চন্দ্রেশ্বরকে চাপ দেন। অর্থ দিতে না পারায় মাধবকে রুবির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার দাবি করেন তাঁরা। ফলে বাধ্য হয়েই ছোট ছেলের সঙ্গে পুত্রবধূর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন চন্দ্রেশ্বর।

গত বুধবার পুলিশ কর্মকর্তা মনীশ কুমার জানান, মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিয়েতে উপস্থিত নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।