ভাইয়ের ২৫ বছরের সংসার ভেঙে দিলেন আ.লীগ নেতা
চাচাতো ভাইয়ের ২৫ বছরের সংসার ভেঙে দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা। সেই সঙ্গে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন তিনি।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের গুমুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সাইদুর রহমান খোকন আসমা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সদস্য। দুই সন্তানের জননী চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের গুমুরিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান খোকনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তারই চাচাতো ভাই কাসেম মিয়ার স্ত্রীর পরকীয়া চলছিল। খোকন ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। কিছুদিন আগে কাসেমের স্ত্রী বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান।
সেখান থেকে গত ১ অক্টোবর রাতে চাচাতো ভাই কাসেমের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হন খোকন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে অজ্ঞাত স্থান থেকে গৃহবধূর স্বামী কাসেমকে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছেন খোকন।
এ বিষয়ে কাসেম মিয়া বলেন, আমাদের ২৫ বছরের সংসার। খোকন আমার চাচাতো ভাই। আমার বাড়িতে প্রায় সময়ই আসা যাওয়া করত। এই সুযোগে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে খোকন। বিষয়টি আমি কাউকে বলতেও পারছি না। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে খুব বিপদে আছি। খোকন আমার সন্তানদের কাছ থেকে তার মাকে কেড়ে নিয়েছে। আল্লাহ যেন তার বিচার করেন।
গুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনসার আলী বলেন, সাইদুর রহমান তার চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা করে আসছে। চাচাতো ভাইকে তার মিলে নাইট গার্ডের চাকরি দেয়। রাতের বেলায় মিলে কাজ করতে গেলে সাইদুর রহমান তার ভাবির সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করত।
এ বিষয়ে জানতে সাইদুর রহমান খোকনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তার মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন