ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রী বদলে রাজি না হওয়ায় খুন
বিয়ের অনেক দিন পার হয়েছে। আগের মতো আর নিজের স্ত্রীকে ভাল লাগত না। উল্টো পছন্দ হয়েছে ভাইয়ের বউকে। আবার ভাইয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টা ছিল ঠিক উল্টো। তিনিও মনে মনে বড় ভাইয়ের বউকে পছন্দ করতেন। ভাইদের মধ্যে ব্যাপারটা জানাজানি হওয়ার পর দুজনে মিলে পরিকল্পনা করেন স্ত্রী-বদলের। কিন্তু এমন ঘটনায় সায় মেলেনি বৌদির। তাইতো দুই ভাই মিলে হত্যা করেছে তাকে।
বিচিত্র এ ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের। আর পাষণ্ড ওই দুই ভাইয়ের নাম বিশাল কুমার ও যোগেন্দ্র কুমার। হত্যার অভিযোগে তাদের দু’জকেই আটক করেছে পুলিশ। তাছাড়া এই হত্যায় সাহায্য করার অভিযোগে সোনু নামের এক যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
হত্যার সূত্রপাত হয় দুই ভাইয়ের বড় জনের বৌ লক্ষ্মীকে নিয়ে। কেননা লক্ষ্মী তাদের এ কুপ্রস্তাবে রাজি হতে অস্বীকৃতি জানায়। দুই ভাই রাজি হলেও স্বামী বিশালের পরিকল্পনায় বাধা দেন স্ত্রী লক্ষ্মী। ঘটনা শুনে তিন তার দেবরকে উল্টো অপমান করেন।
সেই অপমান মানতে পারেননি দুই ভাই। তাৎক্ষণিক তারা এ অপমানের বদলা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনামাফিক বড় ভাই বিশাল কুমার তার ২৩ বছরের স্ত্রী লক্ষ্মীকে হত্যা করেন। আর এ কাজে তাকে সাহায্য করেন ছোট ভাই যোগেন্দ্র কুমার ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বিশাল। তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রী লক্ষ্মীকে তার পছন্দ ছিল না। বরং তার ভাল লাগতো ছোট ভাই যোগেন্দ্রর স্ত্রীকে। অন্য দিকে, ভাই যোগেন্দ্রর পছন্দ ছিল তার বৌদি লক্ষ্মীকে। আর সে কারণেই দু’জনে মিলে স্ত্রী বদলের পরিকল্পনা করেন তারা।
কিন্তু এ প্রস্তাব শোনার পর তা মানতে অস্বীকৃতি জানান লক্ষ্মী। উল্টো তিনি এমন প্রস্তাব করায় দেবর যোগেন্দ্র কুমারকে অপমান করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষ্মীর স্বামী বিশাল স্বীকার করেছে, বৌয়ের অপমানের পরই তাকে খুন করার পরিকল্পনা করেন তারা।
স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মকর্তা রাজেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, হত্যার ঘটনাটি ঘটে গত ৩০ নভেম্বর। সেদিন পার্শ্ববর্তী গ্রামে বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল লক্ষ্মীর। ওই দিন রাত ৯টার সময় ফোন করে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের হতে বলেন বিশাল।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুরবাড়ি থেকে একশ’ মিটার দূরের একটি খোলা স্থানে লক্ষ্মীকে হত্যা করেন বিশাল ও যোগেন্দ্র। এই কাজে তাদেরকে সাহায্য করেন সোনু নামের অপর এক যুবক। হত্যার পরে মরদেহটি সেখানে রেখে তিন জনই পালিয়ে যায়।
ইতোমধ্যেই মেয়ের খোঁজখবরও শুরু করেন লক্ষ্মীর পরিবার। বিশালের কাছ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর না পেয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন তারা। বুধবার দেহটি প্রথম দেখতে পান লক্ষ্মীর এক বোন। পরে তিনি তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।
সূত্র: আনন্দবাজার
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন