ভাঙন আতঙ্কে পদ্মা পারের মানুষ
তীরে আছড়ে পড়ছে উথাল পাথাল ঢেউ। ফারাক্কা গেট খুলে দেয়ায় ক’দিন আগেও অশান্ত ছিল প্রমত্তা পদ্মা। সে সময় নদীর বিপুল স্রোত আতংকিত করে তোলে তীরবর্তী বাসিন্দাদের। বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করে এখন রাজশাহীতে কমতে শুরু করেছে পদ্মার পানি। এতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে বাঘা, চারঘাট উপজেলার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে।
পদ্মার পানি কমে আসায় রাজশাহীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে। শেষ আশ্রয়স্থলটুকু হারানোর ভয়ে ক্রমশ আতঙ্কিত করে তুলছে বাসিন্দাদের।
নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধও। তবে ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে পাড় বাঁধাইয়ের লক্ষে কাজ শুরু করার কথা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নগরীর শহর রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন বুলনপুর, জিয়ানগর, সোনাইকান্দি এলাকার চিত্র প্রায় একই। গেল কয়েক বছরে পদ্মার করাল গ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শত শত একর আবাদি জমি ও বসতভিটা। ফলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন নদী তীরবর্তী মানুষেরা।
পদ্মা পাড়ের আতংকিত কয়েকজন মানুষ জানায়, ভাঙ্গনে আমাদের কোনো অস্তিত্ব নাই, আমরা যে কোথায় কি করবো কিছুই জানিনা। এ অবস্থায় শহর রক্ষা বাঁধসহ বেশ কয়েকটি জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তীরবর্তী মানুষেরা।
পদ্মা পাড়ের মানুষ জানায়, বাঁধ না হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজগুলো ভেঙে যাচ্ছে। একসময় এগুলোর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
চেয়ারম্যান মো. আজিজুল আজম জানান, সরকারিভাবে যদি একটু বিবেচনায় আনে,তাহলে হয়ত এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। আর আমরা বরাবরই সরকারের কাছে বলে আসছি।
রাজশাহীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মহাম্মদ আলী জানান, দুটা প্রকল্প চালু আছে, পদ্মা নদী ভাঙন থেকে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন এলাকা রক্ষা নামে এই প্রকল্প ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়ে যাবে। মহানগরের অন্তর্ভুক্তগুলো রক্ষা প্রকল্প নামে আরেকটি প্রকল্প আমাদের গত অর্থবছরে শুরু হয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ ও ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ শুরু করেছেন তারা।
গত চার দশকে নদীর তলদেশ ১৮ মিটার ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির ধারণ ক্ষমতা কমে আসছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডর এই প্রকৌশলী। ২৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হওয়া শহররা বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০১৯ সালের জুনে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন