ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাতে ঝাড়ফুক, পাতা ঘষা!
নাটোরের বড়াইগ্রামে দুর্ঘটনায় পুঙ্গু হয়েও সাইদুল ইসলাম (৫৫) নামের কবিরাজের বিরুদ্ধে হার জোড়া লাগানোর অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নগর ইউনিয়নের কুরশাইট গ্রামে এই কবিরাজ চিকিৎসার স্থান গড়ে তুলেছেন।
সাইদুল ইসলাম উপজেলার কুরশাইট গ্রামের তয়জাল হোসেনের পুত্র।
কবিরাজ সাইদুল ইসলাম বলেন, ২০ বছর পুর্বে দূর্ঘটনায় তার কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। লালপুর উপজেলার ইসলামপুর কবিরাজ আবুল হোসেনের কাছে চিকিৎসা করে ভাল না হলে কবিরাজী কলা কৌশল শিখেন। ইসলামপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কবিরাজী বন্ধ হয়ে গেলে নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন চিকিৎসা কার্যক্রম।
তিনি আরো বলেন, নতুন রোগী ২০০ টাকা এবং পুরাতন রোগী ২০ টাকা করে হাদিয়া নিই। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ টি রোগী আসে। প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রী নেই। রোগী দেখাতে হলে আগে এক্সরে করে আনতে হয়।
রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, একটি ছোট টিনের ঘরে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ধুলাউরি গ্রামের মুল্লুক জান (৭০) নামের বৃদ্ধ মহিলাকে চিকিৎসা করছেন। পরে গিয়ে পা ভেঙ্গে গেছে। ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। কবিরাজ হাত দিয়ে পা টেনে ভাঙ্গা যায়গা ঠিক করল। পাতা লাগানোর আধা ঘন্টা পর বাঁশের কাঠি দিয়ে ভাঙ্গা জায়গায় বেঁধে দেওয়া হলো। সাথে দেওয়া হলো ঝাড় ফুক।
আরেকটু এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল তিন শয্যার ঘর। সেখানে দুইটি রুগির চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। একজন রোগীর পা ভেঙ্গে গেছে। ইট দিয়ে পা বেধে রাখা হয়েছে। রোগীদের সাথে আর্থিক চুক্তিতে তাদের রাখা হয়।
কবিরাজের স্ত্রী আকলিমা বলেন, ৫ হাজার টাকায় ভর্তি করানো হয়। সুস্থ্য হওয়ার পর ১৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশাদুজ্জামান বলেন, এটি অপচিকিৎষা। এই অপচিকিৎসার জন্য সারাজীবনে কষ্ট ভোগ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই কবিরাজের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন