ভারতকে ১৪০ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
লড়াই করার মতো পুঁজি দাঁড় করাতে পারেননি টাইগাররা। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ১৪০ রান।
সৌম্য তামিম মুশফিকের পর বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। ৭২ রানে প্রথম সারিরএই ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
এরপর লিটন কুমার দাস এবং সাব্বির রহমান রুম্মনরা অনেক চেষ্টা করেও দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৩৯/৮ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। যেটা সম্ভব হয়েছে লিটন এবং সাব্বিরের৩৪ ও ৩০রানের রানের কল্যাণে। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান যা একটু খেললেন। বাকিরা তো আসা-যাওয়ার মিছিলেই ছিলেন।
যুজবেন্দ্র চাহালকে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে লংঅফে ফিল্ডিং করা সুরেশ রায়নার হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ রান করেন লিটন।
টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পণের কারণে ভারতের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর প্রেমাদাসাস্টেডিয়ামে শুরু হয় ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। এদিন টসে জিতে বাংলাদেশ দলকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যান সৌম্য সরকার।স্কোর বোর্ডে ২০ রান জমা করতেই সাজঘরের পথ ধরেন এ ওপেনার। উনাদকাটের বলেচাহালের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে ১২ বলে ১৪ রান করেন সৌম্য। তার বিদায়ের পর সুবিধা করতে পারেননি অন্য ওপেনার তামিমইকবালও। শারদুল ঠাকুরের শর্টবলে সুইফ করতে গিয়েউনাদকাটের তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৬ বলে ২ চারে১৫ রান করেন বাংলাদেশ দলের এ ওপেনার। ৭ রানে নতুন জীবন পেয়েও নিজের ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি জাতীয় দলের এই ডেশিং ওপেনার তামিম।
দলের কঠিন পরিণতির দিনে হাল ধরতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। বিজয় শংকরেরবলে উইকেটের পেছনে থাকা দিনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেনজাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিলেও রিভিউ নেন মুশফিক। থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নিয়েও সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেননি ৩১ বছরেছুঁই ছুঁই এই ক্রিকেটার। সাজঘরে ফেরার আগে১৪ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
সৌম্য তামিম মুশফিকের বিদায়ের পর উইকেটে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক নিজেও। রানের খাতা খুলতে না খুলতেই বিজয় শংকরের গতির বলে দ্বিতীয় শিকারে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। দলের ব্যর্থতার দিনে উইকেটের এক পাশ আগলে রাখা লিটন কুমারও বিভ্রান্ত হন চাহালের গুগলিতে। রানের চাকা সচল করতে ডাউন দ্যউইকটে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে লংঅফে ক্যাচ তুলে দেন লিটন।
এরপর সময়ের ব্যবধানে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উনাদকাটের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৪ বলে ৩ রান করেন মিরাজ। ত্রিদেশীয় সিরিজে যার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল সেই সাব্বির রহমান রুম্মনছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩০ রান করে দলের স্কোর কিছুটা মোটাতাজা করেন। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগেই বাউন্ডার হাঁকাতে গিয়ে উনাদকাটের বলে ব্যাচ তুলে দেন রুম্মন।
ত্রিদেশীয় সিরিজের চলতি ম্যাচেজয় পেতে হলে মোস্তাফিজ তাসকিন রুবেল নাজমুলদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো বোলিংকরতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে পরজয়ের বিকল্প নেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৮ রান (লিটন ৩৪, সাব্বির ৩০, মুশফিক ১৮, তামিম ১৫, সৌম্য ১৪; উনাদকাট ৩/৩৮)।
টস: ভারত
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন