ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাগরিক পরিষদের আহবাযক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও পলায়নের পর ছাত্র জনতার বিজয়োল্লাসে ঈর্ষান্বিত ভারতের গণমাধ্যমে গতকাল বিকৃতভাবে সংবাদ উপস্থাপন করায় নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

অবিলম্বে এহেন হীনমন্যতা ত্যাগ করে বিজয়ী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে পেশাদার ও সুস্থ্য মানসিকতার পরিচয় দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। ‘

তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শেখ হাসিনা সরকারের হাতে শিশু, শিক্ষার্থী, যুবক, শ্রমিকসহ সকল বয়সী শত শত মানুষ নিহত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে হাজারো নাগরিক। শত শত শহীদের প্রতি এবং ঝরে পড়া রক্তের প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে কোনো শোক বা সহানুভূতি জানায়নি। উল্টো জনগনের বিজয়োৎসবে বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে গণঅভ্যুত্থানের ফলে অর্জিত জনগণের বিজয়কে কটাক্ষ করছে। যা খুবই দুঃখজনক। ‘

নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন আরো বলেন, ‘গণভবন, সংসদ ভবন জনগণের সম্পদ। দীর্ঘদিন সেখানে বিনা ভোটে জবরদখলকারীরা ওখানে থাকায় সংক্ষুব্ধ জনগণ বিজয়োল্লাসে পরাজিত ফ্যাসিস্টের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সরিয়ে আনে। যা ছিল ক্রমপুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ভারতীয় গণমাধ্যমে তা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে, যা খুবই লজ্জাজনক। ‘

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে রায়টের কোনো নজির নেই। অথচ ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে ঢালাওভাবে মন্দিরে হামলার কথা প্রচার করছে। যা সত্যের অপলাপ ছাড়া কিছুই নয়। যেখানে নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙাসহ অসংখ্য সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা সর্বজন বিঁধিত সেখানে বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির উদাহরণ।

অথচ অন্যায্য সুবিধা দানকারী হাসিনা যুগের অবসান হওয়ায় ক্ষুব্ধ ভারতের গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ ধর্মীয় উস্কানী দেয়ার হীন উদ্দেশ্যে মন্দিরে হামলার অসত্য সংবাদ প্রচার করছে। আমরা অবিলম্বে এহেন হীনতা পরিহার করতে ভারত পক্ষের প্রতি আহবান জানাই।’

নাগরিক পরিষদের আহবায়ক আরো বলেন, ‘ নিকটতম বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে অসত্য প্রচার বন্ধ করে এ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ভারত বাধ না সেধে সহযোগী হবে, ছাত্র-জনতার অর্জিত বিজয়কে সম্মান করবে, পানির ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেবে, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবে, নেপাল-ভুটান-চীনের সাথে সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগে সাহায্য করবে আমরা তা প্রত্যাশা করি।’