ভারতীয় ঋণে সে দেশ থেকেই ৩শ’ দ্বিতল বাস কিনছে সরকার
ভারতীয় ঋণের ২৩৯ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সে দেশ থেকেই ৩শ’ দ্বিতল বাস ক্রয় করছে সরকার। ভারতীয় কোম্পানি অশোক লেল্যান্ডকে এসব বাস সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণলয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (ভারতীয় ঋণ) আওতায় ‘বিআরটিসির জন্য দ্বিতল, একতলা এসি ও নন-এসি বাস সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পাধীন ১০ শতাংশ যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সেবাসহ ৩শ’টি দ্বিতল বাস সংগ্রহের নিমিত্তে একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২৩৯ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ভারতীয় কোম্পানি অশোক লেল্যান্ড এসব বাস সরবরাহের কাজ করবে।
সূত্র জানায়, ‘বিআরটিসির জন্য দ্বিতল, একতলা এসি/নন এসি বাস সংগ্রহ (১ম সংশোধনী)’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) ঋণের আওতায় ৬শ’টি বাস আনা হবে। এ জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। যার মধ্যে ৪৩৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা এলওসি বা ভারতীয় ঋণ।
জানা গেছে, বাসগুলো চূড়ান্ত করে ডিপিপি অনুসারে দরপত্রের কাগজপত্র ভারতীয় ঋণ সরবরাহকারী এক্সিম ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু এতে তারা রাজি হয়নি। পরবর্তীতে প্রস্তুতকৃত ডিপিপির শর্তের মধ্যে ৪৫টিতে আপস করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কেননা ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের চাহিদা ও শর্তানুরূপ বাস ভারতের কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি করে না। ফলে এসব ধারার সংশোধন না করলে বাসগুলো সরবরাহের দরপত্রে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে না। ফলে দর কষাকষি করে এসব ধারা সংশোধন করতে বাধ্য হয় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রকল্পের কার্যাবিরণী নিয়ে সভা হয়। সভায় ৩শ’টি দ্বিতল ও একশটি একতলা নন এসি বাসের দরপত্র অনুমোদন পায়। অবশিষ্ট ২শ’টি একতলা এসি বাস কেনার লক্ষ্যে দরপত্রের ওপর ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক কোনো মতামত বা অনুমোদন দেয়নি। ফলে ২শ’টি এসি বাস কেনার বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন