ভারতের গণমাধ্যমেও কুসুম সিকদারের বিরুদ্ধে মামলার খবর
বিপাকে পড়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল কুসুম সিকদার। যদিও সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন এই লাক্ষ তারকা। নেশা মিউজিক ভিডিটির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর হাকিম নুরুন নাহার ইয়াসমিনের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কয়েকদিন নাগের এই খবর ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যমে এই খবর আসার পাশাপাশি কলকাতার বেশ কয়েকটি বাংলা গণমাধ্যমও প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, মামলায় রয়েছে কুসুম সহ আরও সাতজনের নাম। অভিযোগ, নেশা নামে মিউজ়িক অ্যালবামের নামে পর্নোগ্রাফি বানানো হয়েছে। মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার নাজমুল আহসান। তিনি জানিয়েছেন, বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে রমনা থানার ওসি-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৩ অগাস্ট বঙ্গ ইউটিউব চ্যানেলে অভিনেত্রী কুসুম সিকদারের নেশা নামের মিউজ়িক ভিডিওটি মুক্তি পায়। তারপর থেকে শুরু হয় জোর সমালোচনা।
গানের সঙ্গে ভিডিওর মিল নেই, অভিযোগ ওঠে। ১৩ অগাস্ট গানটির বৈধ-অবৈধ সব ভিডিও ও টিজার ইউটিউব থেকে সরানোর জন্য আইনজীবী আফতাব উদ্দিন সিদ্দিকি রাগিব আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু, তারপরও ভিডিওটি সরানো হয়নি। তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-র ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, উত্তেজক কথাবার্তার সঙ্গে মিউজ়িক ভিডিওতে রয়েছে আপত্তিকর ও যৌন উত্তেজক দৃশ্য। দেখানো হয়েছে, পাঁচটি শাওয়ারের দৃশ্য, সাতটি সুইমিং পুলের দৃশ্য, একটি শয্যাদৃশ্য ও তিনটি চুম্বনের দৃশ্য। রয়েছে, অশ্লীল অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন ও অর্ধনগ্ন দৃশ্য। অথচ গানের বক্তব্য বা বিষয়ের সঙ্গে কোনও মিল পাওয়া যায়নি সেসব দৃশ্যের।
মামলাকারী খন্দকার নাজমুল আহসান জানিয়েছেন, মডেল কুসুম সিকদার ছাড়াও সহ অভিনেতা খালেদ হোসাইন সুজন, পরিচালক শুভ্র খান ও শ্রাবণী এবং ভিডিও প্রকাশক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হযেছে। তবে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি অভিনেত্রী কুসুমের।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন