ভারতে আবারও করোনার প্রাদূভাব বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সতর্কতা

ভারতের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় বেনাপোল বন্দরে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকে ইমিগ্রেশনের ভেতরে সরজমিনে দেখা যায় প্রত্যেকটা যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে ও মুখে মাক্স পরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে বুধবার (৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড় ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৬ জুন) থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে মহা-পরিচালকের আদেশ এসে পৌঁছালে ৬ তারিখে তা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়েছে। তবে ভারত থেকে বাংলাদেশে যেসব যাত্রী আসছে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।

ভারত থেকে আসা সুভাষ চন্দ্র বলেন, ‘ভারতের কোথাও করোনা পরীক্ষা করেনি। বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকর্মীরা থার্মল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করলো। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে এমনটা শুনিনি। তবে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আসার পর দেখছি করোনা পরীক্ষা করছে।’

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ‘ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, দেশটির কিছু কিছু স্থানে করোনা ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়েছে। দেশে করোনার এ নতুন ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সে জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একারণে ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

বেনাপোলর ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নতুন রূপে করোনা ভাইরাস দেখা দিচ্ছে। যার নামকরণ করা হয়েছে কোভিড-ওমিক্রন এক্সবিবি। এখন পর্যন্ত এ অঞ্চলে কেউ আক্রান্ত না হলেও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সবাইকে মাক্স পরা ও করোনার সময় যে সব স্বাস্থ্য বিধি ছিল সেগুলো আবারও মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

কোভিড-ওমিক্রন এক্সবিবির লক্ষণ হলো জ্বর, কাশি ছাড়া মাথা ব্যথা; গলা, পিঠ ও জয়েন্টে ব্যথা; নিউমোনিয়া; ক্ষুধা কমে যাওয়া। কোভিড-ওমিক্রন এক্সবিবি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৫ গুণ বেশি শক্তিশালী, মৃত্যুর হারও বেশি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষণগুলো তীব্র হয়ে উঠবে ও স্পষ্ট লক্ষণগুলোর অনুপস্থিতিতেও পরিবর্তন ঘটবে।