ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে কিডনি উধাও, আটক ১

ভারতে পেটে ব্যথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন বাংলাদেশের এক ব্যক্তি। কৌশলে আব্দুল কাশেম (৩৪) নামের ওই ব্যক্তির কিডনি রেখে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশে বিউটি বেগম নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি মেডিকেল ডকুমেন্ট ও একটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

সোমবার র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস এ তথ্য জানান। বীণা রানী দাস জানান, চক্রের সদস্যরা নিরীহ লোকদের সুচিকিৎসার লোভ দেখিয়ে জিম্মি করে দেশ-বিদেশে অবৈধভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে আসছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর সত্যতা নিশ্চিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাবের একটি দল বিউটি বেগমকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার এই নারী মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রয়কারী প্রতারক চক্রের সদস্য।

আশুলিয়া থানায় করা একটি মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আব্দুল কাশেমের বাড়ি জয়পুরহাটে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে কাশেম ও তার স্ত্রী ববিতার মোবাইলে কথা হয় দালাল চক্রের সদস্য বিউটি বেগমের সঙ্গে।

একপর্যায়ে কাশেমকে ভারতে নিয়ে স্বল্প খরচে চিকিৎসা দেওয়ার প্রলোভন দেখান বিউটি। বিউটির কথামতো কাশেম ও ববিতা পাসপোর্ট-ভিসা করে গত বছরের ৪ নভেম্বর ভারত যান। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা চক্রের পলাতক সদস্য মো. শহীদ (৪৫) ও শেখ ফরিদ (৪২) তাদের নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখেন।

সেখানে থেকেই কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে কাশেমকে নিয়ে ডাক্তার দেখানো হয়। চিকিৎসার নামে কৌশলে কাশেমের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় কিডনি দানের সম্মতিপত্রে সই নেন চক্রের পলাতক সদস্যরা।

সেখানেই তার কিডনি রেখে দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কাশেম ও তার স্ত্রীকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।