ভারতে লোকসভায় আগের দুই মেয়াদে বিরোধী দলীয় নেতা না থাকার শূন্যতা এবার কাটছে; বিরোধী দলীয় নেতা হতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার (৮ জুন) বিরোধী দলটির সর্বোচ্চ নির্বাহী ফোরাম ‘কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি’ (সিডব্লিউসি) সর্বসম্মতভাবে রাহুলকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে প্রস্তাব পাস করেছে। রাহুল এ দায়িত্ব নিতে রাজি হলে এক দশক পর লোকসভায় বিরোধী দলীয় নেতা হবেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি এবং নিজের কেন্দ্র কেরালার ওয়েনাড় থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক এই সভাপতি। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সিডব্লিউসির সভায় রাহুলকে বিরোধী দলীয় নেতা করার ব্যাপারে প্রস্তাব উঠলে তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ভাববেন। তখন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাকে মনে করিয়ে দেন, সিডব্লিউসি এ বিষয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। পদটি তারা গ্রহণ করা উচিত। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল সভার পর বলেন, “পৃথক একটি প্রস্তাবে সিডব্লিউসি রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ গ্রহণে সর্বসম্মতভাবে অনুরোধ করেছে। সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই একমত যে, রাহুল গান্ধীরই বিরোধী দলীয় নেতা হওয়া উচিত।” প্রয়োজনীয় আসন না পাওয়ায় গত দুই নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৯ সালে লোকসভায় কেউ বিরোধী দলের নেতা ছিলেন না। বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে গেলে ৫৪৩টি আসনের অন্তত ১০ শতাংশ আসন জিততে হয়। গত দুই মেয়াদে কংগ্রেস কিংবা অন্য কোনো দলই তা পায়নি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কেবল এককভাবেই নয়, জোটগতভাবেও এগিয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের দখলে এসেছে ২৩৩ আসন; যেখানে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট ১০০ এরও কম আসন পেয়েছিল। ২০১৯ সালে ৫২টি আসন পাওয়া কংগ্রেস এবার এককভাবে ৯৯ আসনে জিতেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে ২৯ শতাংশ আসনে দলটি সাফল্য পেয়েছে। এবার কংগ্রেস ৯৯ আসনে জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে। রাহুলকে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল বলেন, “এই নির্বাচনে আমরা বেকারত্ম, দ্রব্যমূল্য, নারী, অগ্নিবীর এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের মত গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। পার্লামেন্টের ভেতরেও এ বিষয়গুলো নিয়ে বড় পরিসরে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। লোকসভায় বিষয়গুলো নিয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য রাহুল গান্ধীই সেরা। “বর্তমান পরিস্থিতিতে মানসম্মত, শক্তিশালী এবং সংবিধান রক্ষাকারী সজাগ বিরোধীদলের জন্য বিরোধী দলীয় নেতার পদটি রাহুল গান্ধীরই হওয়া উচিত।” কংগ্রেসের আরেক নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার বলেন, “কংগ্রেস একটি বড় দল এবং রাহুল গান্ধী আমাদের দলের নেতা। যদি তিনি ওই পদটি গ্রহণ করেন…মানুষও চায় তিনি শিগগিরিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।” লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলি ও ওয়েনাড় থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার নজির গড়েছেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। উত্তর প্রদেশের রায়বরেলিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী দীনেশ প্রতাপ সিংকে পিছনে ফেলে প্রায় ৪ লাখ ভোটে জয় পান তিনি। অপরদিকে তার নিজের কেন্দ্র দক্ষিণের রাজ্য কেরালার ওয়েনাড়েও ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪২২ ভোটে জয় পান। রায়বেরেলি ও ওয়ানাডে ভোটের লড়াই ছিল আদতেই রাহুল তথা গান্ধী পরিবারের সম্মানের লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে দারুণভাবে জয়ী হন কংগ্রেসের সাবেক এই সভাপতি

ভারতে লোকসভায় আগের দুই মেয়াদে বিরোধী দলীয় নেতা না থাকার শূন্যতা এবার কাটছে; বিরোধী দলীয় নেতা হতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

শনিবার (৮ জুন) বিরোধী দলটির সর্বোচ্চ নির্বাহী ফোরাম ‘কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি’ (সিডব্লিউসি) সর্বসম্মতভাবে রাহুলকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে প্রস্তাব পাস করেছে।

রাহুল এ দায়িত্ব নিতে রাজি হলে এক দশক পর লোকসভায় বিরোধী দলীয় নেতা হবেন তিনি।

লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি এবং নিজের কেন্দ্র কেরালার ওয়েনাড় থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক এই সভাপতি।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সিডব্লিউসির সভায় রাহুলকে বিরোধী দলীয় নেতা করার ব্যাপারে প্রস্তাব উঠলে তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ভাববেন।

তখন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাকে মনে করিয়ে দেন, সিডব্লিউসি এ বিষয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। পদটি তারা গ্রহণ করা উচিত।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল সভার পর বলেন, “পৃথক একটি প্রস্তাবে সিডব্লিউসি রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ গ্রহণে সর্বসম্মতভাবে অনুরোধ করেছে। সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই একমত যে, রাহুল গান্ধীরই বিরোধী দলীয় নেতা হওয়া উচিত।”

প্রয়োজনীয় আসন না পাওয়ায় গত দুই নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৯ সালে লোকসভায় কেউ বিরোধী দলের নেতা ছিলেন না।

বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে গেলে ৫৪৩টি আসনের অন্তত ১০ শতাংশ আসন জিততে হয়। গত দুই মেয়াদে কংগ্রেস কিংবা অন্য কোনো দলই তা পায়নি।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কেবল এককভাবেই নয়, জোটগতভাবেও এগিয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের দখলে এসেছে ২৩৩ আসন; যেখানে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট ১০০ এরও কম আসন পেয়েছিল।

২০১৯ সালে ৫২টি আসন পাওয়া কংগ্রেস এবার এককভাবে ৯৯ আসনে জিতেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে ২৯ শতাংশ আসনে দলটি সাফল্য পেয়েছে।

এবার কংগ্রেস ৯৯ আসনে জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে।

রাহুলকে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল বলেন, “এই নির্বাচনে আমরা বেকারত্ম, দ্রব্যমূল্য, নারী, অগ্নিবীর এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের মত গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। পার্লামেন্টের ভেতরেও এ বিষয়গুলো নিয়ে বড় পরিসরে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। লোকসভায় বিষয়গুলো নিয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য রাহুল গান্ধীই সেরা।

“বর্তমান পরিস্থিতিতে মানসম্মত, শক্তিশালী এবং সংবিধান রক্ষাকারী সজাগ বিরোধীদলের জন্য বিরোধী দলীয় নেতার পদটি রাহুল গান্ধীরই হওয়া উচিত।”

কংগ্রেসের আরেক নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার বলেন, “কংগ্রেস একটি বড় দল এবং রাহুল গান্ধী আমাদের দলের নেতা। যদি তিনি ওই পদটি গ্রহণ করেন…মানুষও চায় তিনি শিগগিরিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলি ও ওয়েনাড় থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার নজির গড়েছেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী।

উত্তর প্রদেশের রায়বরেলিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী দীনেশ প্রতাপ সিংকে পিছনে ফেলে প্রায় ৪ লাখ ভোটে জয় পান তিনি। অপরদিকে তার নিজের কেন্দ্র দক্ষিণের রাজ্য কেরালার ওয়েনাড়েও ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪২২ ভোটে জয় পান।

রায়বেরেলি ও ওয়ানাডে ভোটের লড়াই ছিল আদতেই রাহুল তথা গান্ধী পরিবারের সম্মানের লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে দারুণভাবে জয়ী হন কংগ্রেসের সাবেক এই সভাপতি।