ভারতে লোকসভার এমপিরা যেসব সুবিধা পান

ভারতে লোকসভা নির্বাচন শেষ। জোটবদ্ধভাবে এগিয়ে থাকা এনডিএ সরকার গঠনের পথে রয়েছে। পথ একেবারে ছেড়ে দেয়নি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটও। তারা এখনও পরাজয় স্বীকার করেনি। ফলে সরকার গঠন নিয়ে কিংমেকারদের সঙ্গে উভয় পক্ষের চলছে প্রকাশ্যে এবং গোপনে দেনদরবার, দর কষাকষি। এ লক্ষ্যে তারা এরই মধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন। চলছে দরদাম। কিংমেকাররা যেদিকে ঝুঁকবেন, সেই পাল্লাই ভারি হবে এবং সরকার গঠন করবে। তবে সব মিলে ২৯৩ আসনে এগিয়ে থাকায় এনডিএ জোট সরকার গঠনের ডাক দিয়েছে। সে লক্ষ্যে শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির।

কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা একদিন পিছিয়ে রোববার সন্ধ্যা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মিত্রদের সঙ্গে দর কষাকষির জন্য এই সময়ক্ষেপণ।

সে যা-ই হোক। নির্বাচিত এমপিরা কত বেতন পান এবং আনুষঙ্গিক আর কি কি ভাতা পান, তা এক নজরে দেখে নেয়া যাক।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত একজন এমপি বেসিক হিসেবে এক লাখ রুপি পান। ২০১৮ সালে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবন ধারনের খরচ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর বাইরে প্রতিটি আসনের জন্য একজন এমপি পান ৭০ হাজার রুপি। এই খরচ দিয়ে তিনি এলাকায় অফিস এবং অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করেন।
অফিস খরচ হিসেবে মাসে ৬০ হাজার রুপি পান একজন এমপি। এর মধ্যে আছে স্টেশনারি, টেলিযোগাযোগ স্টাফ বেতন ইত্যাদি।
পার্লামেন্ট অধিবেশন চলাকালে এবং কমিটির মিটিংয়ের সময় একজন এমপি প্রতিদিন দুই হাজার রুপি এলাউন্স হিসেবে পান। অবস্থান, খাদ্য ও অন্য খরচ বাবদ এই অর্থ দেয়া হয়।
একজন এমপি প্রতি বছর নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দেশের ভিতর বিনা ভাড়ায় ৩৪টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সফর করতে পারেন।
সরকারি কাজ ও ব্যক্তিগত সফরের জন্য তারা ট্রেনে বিনামূল্যে ফার্স্ট ক্লাস সফরের সুযোগ পান।
নিজের সংসদীয় এলাকার ভিতরে সফর করার জন্য তারা মাইলেজ হিসেবে এলাউন্স পান।
ক্ষমতায় থাকা ৫ বছর সময়ের জন্য তাদেরকে উন্নত এলাকায় বিনামূল্যে আবাসন সুবিধা দেয়া হয়। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে তারা বাংলো, ফ্লাট বা হোস্টেল রুম পান। যারা এসব সুবিধা নেবেন না তারা গৃহায়ন বাবদ মাসে দুই লাখ রুপি দাবি করতে পারেন।
সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিমের অধীনে তারা এবং পরিবারের সদস্যরা বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারেন। এর আওতায় থাকা বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারি হাসপাতালে তারা এ সুবিধা নিতে পারেন।
বছরে একজন এমপি বিনামূল্যে এক লাখ ৫০ হাজার টেলিফোন কল করতে পারেন।
অফিস এবং বাসায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ পান বিনামূল্যে। ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুত এবং চার হাজার কিলোলিটার পানি বছরে দেয়া হয় বিনামূল্যে।
পার্লামেন্টের সাবেক একজন এমপি প্রতি মাসে পেনশন হিসেবে পান ২৫ হাজার রুপি।
অতিরিক্ত সময় দায়িত্বে থাকলে মাসে দুই হাজার রুপি করে ইনক্রিমেন্ট পান।