ভালোবাসার মানুষের জন্যও যে কাজগুলো করতে মানা
আপনি ভালোবাসার জন্য কী করতে চান? আপনার হয়তো এ বিষয়ে একটি লম্বা কর্মতালিকা থাকতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন ভালোবাসার মানুষের জন্য হলেও কী কী কাজ করা উচিত নয়? যদিও বিষয়টি আপনাকে বিস্মিত করতে পারে তথাপি এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো ভালোবাসার মানুষের জন্যও করা উচিত নয়।
কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপানাকে আপনার ভালোবাসার মানুষের সঙ্গেও একটি দেয়াল টেনে নিতে হবে এবং তাকে নিঃশর্ত ভালোবাসা বন্ধ করে দিতে হবে। যদিও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে অনেক সমঝোতা এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে সুখি রাখতে গিয়ে নিজে যন্ত্রণা ভোগ করবেন।
সুতরাং আসুন জেনে নেওয়া যাক ভালোবাসার মানুষের জন্যও কোন কাজগুলো করা উচিত নয়।
১. তামাশামূলক জোকস সহ্য করা
এক জরিপে দেখা গেছে ৪০% বিয়ে বিচ্ছেদের সূচনা হয় তামাশামূলক জোকস থেকে। কারণ অনেক সময় বাজে জোকস আপনার জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে মারাত্মকভাবে আঘাত করতে পারে।
একটি বাজে জোকস করার কয়েকদিন পর অন্য কোনো ঘটনায় ঝগড়ার সৃষ্টি হতে পারে। আর এরপর যদি তামাশামূলক জোকসের পরিমাণ আরো বাড়তে থাকে তাহলে ওই যুগল পরস্পরকে ঘৃণা করতে শুরু করতে পারে। সুতরাং আপনার যদি কোনো তামাশামূলক জোকস ভালো না লাগে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই তা সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে জানিয়ে দিন।
২. নিজের আবেগকে হত্যা করা
আপনি হয়তো গান ভালোবাসেন।
কিন্তু আপনার পার্টনার গান নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চর্চা করা পছন্দ করেন না। ফলে তিনি আপনাকে গান গাওয়া বাদ দিতে বললেন।
আপনি কি তা করবেন? তারচেয়ে বরং একটি মধ্যমপন্থা খুঁজে বের করাই ভালো। আপনি বরং গান গাওয়া বাদ না দিয়ে তার সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটানোর প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন।
৩. অন্যের সঙ্গে তুলনা সহ্য করা
অন্যের সঙ্গে তুলনা কখনোই নীরবে সহ্য করবেন না। আপনার পার্টনার যদি অনবরত আপনাকে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করে তাহলে আপনি প্রতিবারই বলে দিন অন্য কারো মতো হতে আগ্রহী নন আপনি।
৪. চেহারা-সুরত বদলে ফেলা
নিজের চেহারা-সুরত আমূল বদলে ফেলাটা এমনকি ভালোবাসার মানুষের জন্যও জরুরি নয়। প্রকৃতপক্ষে, যদি আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে তাহলে তিনি আপানাকে কখনো কোনো কিছু করতে জোর খাটাবেন না। আপনি যেমন আছেন তাতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।
৫. সব কাজ করে দেওয়া
একটি প্রবাদ আছে, যে গাধা নিজের পিঠেই সব ভার বহন করতে চায় তার ওপরই সব ভার চাপিয়ে দেওয়া হয়। এর মানে হলো, আপনি একাই যদি সব কাজ করেন তাহলে আপনার পার্টনার ভেবে নিবেন এটাই স্বাভাবিক যে আপনিই সবসময় তার সব কাজ করে দিবেন। তারচেয়ে বরং, সব কাজ দুজনের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিন। এমনকি যদি আপনি আপনার পার্টনারকে বেশি ভালোবাসেন তবুও।
৬. ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ত্যাগ করা
আপনার বন্ধুরা ও আত্মীয়-স্বজন আপনার জীবনে অনেক গুরুত্ব বহন করেন। আপনার পার্টনার যদি আপনাকে তাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে মানা করেন তাহলে কি আপনি তা করবেন?
আসলে একটি সুখি জীবনযাপনের জন্য আপনাকে সবকিছুর মধ্যেই একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সবকিছুই আপনার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকাটা জরুরি। তবে এও সত্যি সবার ওপরে আপনার পার্টনারকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিবেন আপনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পার্টনারের কথা মতো আপনি কারো সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করবেন।
৭. অর্থনৈতিকভাবে কেয়ারলেস হওয়া
নিজের ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করাতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু আপনার পার্টনার যদি আপনার উপার্জিত সব অর্থই তাকে দিয়ে দিতে বলেন তাহলে সাবধান। আপনি আপনার সম্পদ তার সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন তা ঠিক আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাকে আপনাকে লুট করতে দিবেন।
৮. সবসময়ই একমত হওয়া
লোকের ভিন্ন ভিন্ন মত থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার পার্টনার যদি তার মতামত আপনার ওপর চাপিয়ে দিতে চায় তাহলে তা মেনে নেবেন না। কাউকে ভালোবাসলে নিজের মতামত আমূল বদলে ফেলতে হবে এমনটা নয়। আর পার্টনারের মতের সঙ্গে সবসময়ই একাত্মতা প্রকাশ করতে হবে তাও ঠিক নয়।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন