ভিক্ষুক বা ভিক্ষাবৃক্তি


ভিক্ষুক হচ্ছেন তিনি যিনি কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই অপরের অনুগ্রহে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন বা অর্থ উপর্জন করেন। অর্থ ছাড়াও তারা খাদ্য, পানীয়, কিংবা অন্য কিছু চেয়ে থাকেন। মূলত. তাদের আগ্রহ একটি নিয়মিত আয়। যদিও তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যগত অথবা বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী বা দরিদ্র হওয়ার কারনে এ পেশাটাকেই বেছে নেয়।
বিভিন্ন ধর্মের লোকই ভিক্ষা করে।
ভিক্ষু ও ভিখুনীরা এতিহ্যগতভাবেই ভিক্ষার উপর নির্ভর করে। এমনকি থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনামে এলাকার লোকজন প্রতি ভোরে স্থানীয় মন্দিরে ভিখুদের খাবার পৌঁছে দেয়া হয়। আমাদের দেশে অবশ্য এমনটি দেখা যায় না।
আমাদের দেশে রমজান মাসে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়ে যায়। তখন অধিক সওয়াবের আশায় সাধারন মানুষ ও বিত্তবানেরা বেশি বেশি দান করে।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর ও সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয় ২০১৮ সালে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি ঘোষনা করলেও তা তেমন সফলতার মুখ দেখেনি। এর কারন তাদের ভিক্ষাই যেন ভাল লাগে। কাজ নয়, ভিক্ষা চাই। এটাই তাদের স্লোগানে পরিনত হয়েছে।
গত শুক্রবাব মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীর দেশ আবর আমিবাতের অন্যতম রাজ্য দুবাই ভিক্ষাবৃত্তি রোধ করতে অভিযান শুরুর ঘোষনা দিয়েছে পুলিশ। ভিক্ষা বৃত্তি ইসলাম সমর্থন করেনা। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন – আল্লাহতায়ালার কাছে হালাল কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বা রাগের উদ্রেক সৃষ্টিকারী কাজ হলো স্ত্রীকে তালাক দেয়া ও ভিক্ষা করা। তাই তাদের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে।
ভিক্ষুককে ৫ টাকা দিলাম। তিনি নিতে অস্বীকৃতি জানান। বলেন – “রমজানে পাঁচ টাকা নেই না স্যার, দশ টাকা দিন। না পারলে দরকার নেই। এ থেকে কি আমাদের মুক্তি নেই? আছে অবশ্যই। এ ক্ষেত্রে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন একটা সুন্দর উদ্যোগ গ্রহন করেছিল। তাদের সঠিক তদারকির অভাবে কিছু লোক সফল হলেও অধিকাংশকেই ভিক্ষাবৃত্তি থেকে ফেরানো সম্ভব হয়নি।
এনজিও বা এলাকার গন্যমান্য বক্তিদের মাধ্যমে কিছু ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকার প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারেন। সব ভিক্ষুককে নয়। যাদের শারীরিক সামর্থ আছে, বয়স কম তাদের আয়ের একটা পথ করে দিলে দেশের ও তাদের কিছুটা অন্তত উপকার হবে। অধিকাংশ ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্তি পাবে। শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষকে এ কাছে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন