ভিখারুননিসায় এক ছাত্রীকে টিসি দিলে আয় ১০ লাখ!
রাজধানীর ভিখারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের বিরুদ্ধে রয়েছে ভর্তি বাণিজ্য, অতিরিক্ত ফি আদায়, অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ। শিক্ষার্থী অরিত্রির অধিকারীর মৃত্যুর পর মুখ খুলছেন অভিভাবকরাও।
অরিত্রির ঘটনায় এক নারী শিক্ষককে গ্রেফতার করা হলেও আরও দুজন পলাতক। অভিভাবকদের অভিযোগ, যে শিক্ষকরা পতালক তারাই ঘটনার সঙ্গে বেশি জড়িত।
ভিকারুননিসার অনিয়মের প্রতিবাদে শুক্রবার প্রতিবাদমুখর ছিলেন অভিভাবকরা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি ছাত্রীকে টিসি দিয়ে বের করে দিলে, আরেকটি ছাত্রী ভর্তি করা যাবে। তাহলে নগদে ১০ লাখ টাকা আয় হয়ে যাবে। প্রতিটি শিক্ষকের মাথায় এটি ঘোরে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি সেশনে ৭০ জন থাকার কথা। সেখানে ১০০-১১০ জন ভর্তি হচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব? এটা ভর্তি বাণিজ্য হয়েছে তা না হলে কীভাবে হলো। এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা যায়। কিন্তু ভিকারুননেসা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করা দুষ্কর।’
প্রসঙ্গত, নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রির বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগ এনেছিল। এ জন্য অরিত্রির মা-বাবাকে ডেকে নেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ।
তাদের ডেকে মেয়ের সামনেই অপমান করে বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে অরিত্রিকে নকলের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হবে। এ অপমান সইতে না পেরে বাসায় এসে অরিত্রি আত্মহত্যা করে।
পুলিশ ও পরিবারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শান্তিনগরে সাততলা ভবনের সপ্তমতলায় নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অরিত্রিকে পাওয়া যায়।
এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসকরা অরিত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। অরিত্রির বাবা দিলীপ কুমার একজন সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন