ভিডিওতে খুব কাছ থেকে ছাত্রদের টার্গেট করে পুলিশি হামলার দৃশ্য
‘খুব কাছ থেকে ছাত্রদের টার্গেট করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। সেসময়ই সিদ্দিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাহলে পুলিশ যে সিদ্দিকের চোখের আঘাত নিয়ে এখন নানা কথা বলছে তার কী হবে? ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ৫ হাতের কম দূরত্ব থেকে পুলিশ টার্গেট করে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে। তাহলে এখন কী আমরা সিদ্দিকের ওপর হামলার জন্য পুলিশের বিচার চাইতে পারি না?’ সেদিনের ঘটনার এভাবেই বর্ণনা দিলেন সিদ্দিকুর রহমানের বন্ধু ও সহপাঠীরা। আহত সিদ্দিক এখন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রবিবার (২৪ জুলাই) রাতে সিদ্দিকের বন্ধু ও সহপাঠীরা পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোড়ার ভিডিও পাঠিয়েছেন। তারা বলেন,‘আমাদের এক বন্ধুই এই ভিডিও করেছে। সে এতদিন ভয়ের কারণে এটা প্রকাশ করতে পারেনি। কিন্তু আজ যখন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া হাসপাতালে এসে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার নানা অ্যাঙ্গেলের কথা আমাদের বলে গেলেন, তখন সেই বন্ধু এটি আর গোপন করে রাখতে পারেনি। এতবড় মিথ্যাচার পুলিশ কী করে করতে পারে সে প্রশ্নই কেবল আমাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।’
ভিডিওতে দেখা গেছে, ২০ জুলাই শাহবাগে পরীক্ষার রুটিন ও তারিখসহ একাধিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থী এবং পুলিশের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। তখনই একদম কাছ থেকে পুলিশ ছাত্রদের টার্গেট করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এসময় সেখানে থাকা নীল পাঞ্জাবি পরা সিদ্দিকুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তাকে সে অবস্থায় রেখেই পুলিশ সামনে থাকা ছাত্রদের দিকে এগিয়ে যায়।
সিদ্দিকুরের সহপাঠী ফরিদউদ্দিন বলেন, ‘যখন ছাত্রদের অযথাই ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তখন সিদ্দিকুর একজনকে উদ্ধারে এগিয়ে যায়। এরপর তার চোখ লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।’
সোমবার রাতে সিদ্দিকুরের আরেক সহপাঠী বলেন, ‘পুলিশের বক্তব্য কতটা মিথ্যা সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু তারপরও তারা যদি অস্বীকার করতে চায় তাহলে এই ভিডিও ফুটেজ তারা দেখতে পারে। যে পুলিশ এই কাজ করেছে বিচার দাবি করছি।’
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজসহ আরও অনেক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। এরই মধ্যে একটি মামলা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাবো তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।’সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন