ভিসা জটিলতায় কমেছে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্ট যাত্রীর সংখ্যা
পর্যটন ও ভ্রমণ ভিসা বন্ধসহ চিকিৎসা ভিসাও বন্ধ হওয়ার কারণে গত ছয় মাসে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াত কমেছে প্রায় আড়াই লাখ পাসপোর্টধারী যাত্রীর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভারত। ভিসা প্রতিবন্ধকতায় ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনশিল্প। একই ভাবে সরকারের রাজস্ব আদায় কমেছে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা।
জানা যায়, বেনাপোল থেকে কলকাতার যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ যাত্রী বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে ভারত ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বেশি। ভিসা বন্ধের আগে প্রতিদিন এ রুটে সহস্রাধিক যাত্রী ভারত যাতায়াত করতেন। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৩শ’ থেকে ৪শ’। ফলে ভ্রমণ কর বাবদ এ সময়ে সরকারের রাজস্ব আদায় কম হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটন ও ভ্রমণ ভিসা বন্ধ এবং চিকিৎসা ভিসা সংকুচিত হওয়ার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমদানিকারকরা ব্যবসা হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পথে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে কমে গেছে আমদানি বাণিজ্যও। যাত্রী পারাপার কম হওয়ার কারণে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা পার করছেন অলস সময়। ভিসা বন্ধের কারণে দুই দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশিদের অভাবে কলকাতার ব্যবসা-বাণিজ্য মুখথুবড়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন খাত।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মোহাম্মদ কাদের ভূঁইয়া জানান, ভিসা সংকুচিত হওয়ার কারণে প্রায় আড়াই লাখ পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে কম গেছে। গেল বছর ভারতে গেছেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৩ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি যাত্রীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৬৫ হাজার। ২০২৩ সালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারতে গেছেন ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৮৪ হাজার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন