‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে’ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দ্রুত পুনর্গঠন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ডিসি সম্মেলনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ডিসিরা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন- এদের ব্যাপারে জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধারা খুবই সোচ্চার। এদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। এটাতে তারা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) পুনর্গঠন করা হয়েছে। জামুকার যে আইন ছিল সেটাতে সংশোধনী আনা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞার নিরিখে এই সংশোধনী আসছে। সংশোধনী আসার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদও পুনর্গঠিত হবে। এরপর প্রতিটি জেলায় যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে আমরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করব। যাদের আমরা শনাক্ত করতে পারব- তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠন প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যে এটা হয়ে যাবে। এ নিয়ে একটা নীতিমালাও করা হচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন- তারা ‘জুলাই শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন, যারা আহত হয়েছেন- তাদেরকে বলা হবে ‘জুলাই যোদ্ধা’।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক শহীদ পরিবার ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবেন। আহতরা পরিচয়পত্রের পাশাপাশি আজীবন ভাতা ও চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। এছাড়া ক্যাটাগরি-১ এর গুরুতর আহতরা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। ক্যাটাগরি-২ এর আহতরা অর্থাৎ যাদের এক অঙ্গহানি হয়েছে, তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন এবং ১৫ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। ক্যাটাগরি-৩ এর আহতরা পুনর্বাসনে সহযোগিতা পাবেন।