ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশন করা অত্যন্ত জরুরি: পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের আওতায় অংশীজনদের অংশগ্রহণে “পার্বত্য জেলাসমূহের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশন সংক্রান্ত” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত), মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব:) সুপ্রদীপ চাকমা।

পার্বত্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব:) জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশন করা অত্যন্ত জরুরি। ভূমি কমিশনের একটি প্রবিধান প্রণয়ন করা দরকার। আমরা চাই পার্বত্য এলাকার মানুষ ভালো থাকুক, তাদের জীবনমান উন্নত হোক।

তিনি বলেন, কাপ্তাই লেকের পানি সংরক্ষণ করতে হবে। মাননীয় উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে অতীতের তুলনায় পাহাড়ি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক।

এসময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো: এমদাদুল হক চৌধুরী, উপসচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন-১) এ.টি.এম আজহারুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিব উল্লাহ মারুফ, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) অনুপ কুমার চাকমা, রাঙামাটি পুলিশ সুপার ড. এস এমন ফরহাদ হোসেন চৌধুরী সহ তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক, চেয়ারম্যান, হেডম্যান কার্বারিগণ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় পার্বত্যাঞ্চলে নামজারির ক্ষেত্রে সমতলের ন্যায় সময়সীমা নির্ধারণ ও অনুসরণ করা, প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ভূমি অফিস স্থাপন ও হ্যাডম্যানদের প্রশিক্ষন প্রদান, হ্যাডম্যানদের শক্তিশালীকরণ প্রকল্প গ্রহণ ও তাদের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আনয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি সংস্কার কমিশন বিধিমালা প্রণয়ণ ও কমিটিতে জেলা প্রশাসকদের অন্তর্ভুক্তকরণ ও অধিবাসীদের সংখ্যানুপাতে সদস্য নিয়োগ, পরিপত্র জারির ক্রয় ক্ষেত্রে ভূমি অর্জনের ক্ষেত্রে ভূমির সর্বোচ্চ সিলিং নির্ধারণ সহ ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।