ভূরুঙ্গামারীতে দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ১৬

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাগলাহাট বাজার এলাকায় দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকাল ও রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন উভয় পক্ষ। একপক্ষ বলছে পাগলাহাট বাজার বনিক সমিতির কমিটিকে নিয়ে কথা বলায় তাদের ওপর হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। অপর পক্ষ বলছে রাজনৈতিক কারণে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন, খতিবর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, জুয়েল, জিহাদ, জাহিদ হাসান, শাহজাহান, শহিদুল ইসলাম, মাহামুদুল ইসলাম, সাজু, সিয়াম, সোহাগ রানা, মুছা সরকার, আশরাফুল, আবেদা সুলতানা, রাশেদা, ও মোজাম্মেল হক। এদের মধ্যে আশরাফুল, জিহাদ ও জুয়েল রংপুরের বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হামলার শিকার আশরাফুল আলম বলেন, পাগলাহাট বাজার বনিক সমিতির কমিটি নিয়ে গত বুধবার ব্যবসায়ীদের সাথে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীর আলোচনা হয়। সেখানে আমিও ছিলাম। কমিটি সংক্রান্ত আলোচনার জেরে বুধবার রাতে বনিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী আমার ওপর চড়াও হন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার লোকজন ওয়াজেদ নামের এক শিক্ষার্থীর বাড়িতে যায়। তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকিধামকি দেয়। পরে আমাদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। এসময় তাদের আঘাতে আমার বাবা মোজাম্মেল হক, মা আবেদা সুলতানা, খালা রাশেদা আহত হয়েছেন। আমিও আহত হয়ছি। দেড় লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা কোনো হামলা করিনি।

ওয়াজেদ আলী বলেন, বনিক সমিতি নিয়ে যে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে দলীয় রাজনীতিকে টেনে আনা হয়েছে। বনিক সমিতির সভাপতি শিলখুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের ভুল বুঝিয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

মোহাম্মদ আলী বলেন, বহিরাগত কেউ যাতে বিএনপিতে ভিড়তে না পারে এমন দলীয় নির্দেশ রয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর আমরা বিজয় মিছিল করি। এই মিছিলে ছাত্রলীগ পন্থী আশরাফুল ও ওয়াজেদ ছিল। সেটা সম্প্রতি চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কারণে বুধবার রাতে তারা আমার উপর হামলা করে। হামলার কারণ জানতে বৃহস্পতিবার বিকেলে অন্যান্য লোকজন নিয়ে তাদের বাড়িতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১২ থেকে ১৫ জন আহত হয়। আমরা তাদের ওপর হামলা করিনি।

পাগলাহাট বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এক যুগের বেশি সময় আগে বনিক সমিতি গঠিত হয়। তখন থেকে মোহাম্মদ আলী সভাপতি পদে রয়েছেন। তাদের কেউ কেউ বলছেন বনিক সমিতি নিয়ে কথা বলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের সাব-ইনচার্জ আবু মুন্না আলী জানান, বৃহস্পতিবার বিভিন্ন আঘাত নিয়ে ১২ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।