ভূরুঙ্গামারীতে মাদক ব্যবসায়ী পরিবারকে উচ্ছেদে হামলা ও ভাংচুর, এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করার অভিযানের নামে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর এবং স্বপরিবারকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বিকালে শিক্ষার্থী-জনতার ব্যানারে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাটেশ্বরী বাজারে ৩টি বাড়িতে এঅভিযান চালায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব‍্যানারে একদল ছাত্র ও স্থানীয় জনতা।
এসময় এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘ সময় ধরে ভাংচুর চললেও প্রশাসনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের পর সেখানে ব‍্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, এরা ৩জন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এদের নামে মাদকদ্রব্য চোরাচালানের একাধিক মামলা আছে। আমরা বেশ কয়েকবার স্বশরীরে গিয়ে মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলেছি, ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমেও সতর্ক করিয়েছি। কিন্তু তারা প্রশাসনের নিরবতায় ও স্থানীয় দলীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে মাদক বেচা-কেনা করছে বিধায় আমরা এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ীকে স্বপরিবারে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছি।
‘ছাত্র-ছাত্রী-জনতা আইন হাতে তুলে নিতে পারে কিনা? এই অভিযান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্দেশে হয়েছে কিনা?’ এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা।

স্থানীয়রা জানায়, একদল ছাত্র-ছাত্রী মিছিল করে লাঠি-সোঠা নিয়ে চিহ্নিত ৩জন মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে আক্রমণ করে। তার আগেই বাড়ির লোকজন প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। অপরাধীর শাস্তির জন‍্য আইন ও আদালত আছে।

এবিষয়ে বাড়ি ভেঙে দেয়ার ঘটনায় মাদক বিক্রেতাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা কয়েকদিন আগে মাদক বিক্রেতাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। তারা এলাকা ছেড়ে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইন হাতে তুলে নেয়া ঠিক নয়।

ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইন চার্চ রুহুল আমিন বলেন, ঘটনার সত্যতা সোস্যাল মিডিয়া মাধ্যমে জেনেছি। কেউ যদি প্রতিকার চায়, অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা ব‍্যবস্থা নিব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই। বিস্তারিত জেনে পরে জানাচ্ছি।