ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ দিকে জমে ওঠেছে প্রচার- প্রচারণা
আর মাত্র ২ দিন পর আগামী ২৯ মে (বুধবার) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন (৩য় ধাপ) অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে রয়েছে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
শেষের দিকে এসে জমে ওঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা বিএনপির ( সদ্য বহিস্কৃত) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বেশ জমে ওঠেছে প্রচার প্রচারণা। মাইকে রেকর্ডকৃত বাহারি রকমের স্লোগানে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশ, মিছিল ও নির্বাচনী পথ সভায় মুখরিত গোটা উপজেলা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে,ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ টি পদে মোট ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৩৪ জন। চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। চেয়াম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নূরন্নবী চৌধুরী ঘোড়া, উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদক ও তিলাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক শাহিন শিকদার মোটর সাইকেল, প্রভাষক ও সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম হেলিকপ্টার ও পল্লী চিকিৎসক মতিয়ার রহমান জোড়া ফুল প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করজেন।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রভাষক মাহমুদুল হাসান টিউবওয়েল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী সোহাগ উড়োজাহাজ, একেএম গোলাম কাদের সিদ্দিকী রনি মাইক ও এস এম ফারুকুজ্জামান ফারুক তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা বেগম মীরা কলস,
সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীন ফুটবল ও জেলা পরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন ব্যাপারীর সহধর্মিনী মনোয়ারা বেগম সেলাই মেশিন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর, গ্রামের হাট-বাজার, অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকা। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। আবার গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা।
তবে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ঘুরে ও ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ভোটাররা এবার সৎ, যোগ্য, পরোপকারী ও বিপদে যাকে কাছে পাবেন এমন প্রার্থীকেই বিজয়ী করবেন তারা। যে প্রার্থী উন্নয়ন করতে পারবে তাকেই চান সাধারণ ভোটাররা। তাই নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, আলোচনা তত বাড়ছে কে হবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাঈফ আহম্মেদ নাসিম বলেন তপশীল অনুযায়ী আগামী ২৯ মে এই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন