ভেটিংয়ের জন্য আরপিও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইসি
ভোটগ্রহণে ইভিএমের ব্যবহার সংযুক্ত করে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে ইসির যুগ্ম-সচিব (আইন) মো. সেলিম মিয়া ও যুগ্ম-সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. আবুল কাশেম সংশোধিত আরপিও নিয়ে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবন থেকে মন্ত্রণালয়ে যান।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আরপিও বাংলায় করা হলেও সেটি এখন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। শুধু সংশোধিত অংশ ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে সভায় এ প্রস্তাব করা হয়।
৫ সদস্যের কমিশনের একজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইভিএম বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে সভা বর্জন করেন। তিনি ‘নোট অব ডিসেন্টও’ দেন।
সভা শেষে ইভিএমের যুক্তি তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছি। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরি করা যায় কিনা তা চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে যাতে সংসদ নির্বাচনে এটি ব্যবহার করা যায়, সে প্রস্তুতি নিতেই বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব করেছি।’
তিনি আরো বলেছিলেন, ‘প্রস্তাবটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে ভেটিংয়ের জন্য। মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়া অনুয়ায়ী তা সংসদে উত্থাপন করা হবে। আইন পাস হলে সারাদেশে ইভিএম প্রদর্শনী হবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হবে। রাজনীতিবিদেরা সম্মতি দিলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।’
২০১০ সালে ইভিএম চালু হয়। তবে এতদিন শুধু স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে এটি ব্যবহার করা হয়ে আসছে।
ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, এতে ভোট গ্রহণ সহজ ও স্বচ্ছ হবে। বিপরীতে বিএনপির দাবি, কারচুপির জন্য হঠাৎ করেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন