ভোজ্যতেল উৎপাদন-আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে

ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। একইসঙ্গে ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি।

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এর আগে একইদিনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আমদানি পর্যায়ে সব ভোগ্যপণ্যের সর্বনিম্ন কর ধার্য করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়।

সোমবার (১৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বৈঠকে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ছুটি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি-বাড়ি ও জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইনসহ মোট ৪টি আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের ধারণা এর ফলে বাজারে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে।

দাম সহনীয় রাখতে রোববার (১৩ মার্চ) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ভোক্তা পর্যায়ে নিত্যপণ্যের ভ্যাট তুলে দেওয়াসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘গতকালের বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী এগ্রি করেছেন এবং খুব স্ট্রংলি একটা ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছেন।’

রোববার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় ভোজ্যতেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো সুযোগ নিতে না পারেন, সে জন্য আগামী দু-এক দিনের মধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়।