ভোটচুরি করলে দেশের মানুষ মেনে নেয় না: প্রধানমন্ত্রী
ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়, যা বাংলাদেশে ‘ওয়ান/ইলেভেন’ নামে পরিচিত। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেদিন বিকেলে জরুরি অবস্থা জারির পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণেই দেশে ওয়ান/ইলেভেন হয়েছিল। খালেদা জিয়া ভোটচোর হিসেবে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
রোববার (৬ আগস্ট) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ভোটচুরি করলে দেশের মানুষ মেনে নেয় না বলেই খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। জনগণই ভোটের মালিক। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে চলতে পারবে দেশের মানুষ। আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নেই। জনগণই আওয়ামী লীগের প্রভু। নির্বাচনের বিষয়ে জনগণের প্রতিই আওয়ামী লীগ দায়বদ্ধ।
তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। বিএনপির হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান- সবাই খুনি।
২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের কারণে আওয়ামী লীগ হেরেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় এবং দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্তের কারণে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
সভায় অর্থনীতিবিদদের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করেই দারিদ্র্য বিমোচন ১৮ শতাংশের নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। আগে কেন ১৮ শতাংশে দারিদ্র্যের হার আসেনি? আমি অর্থনীতিবিদদের কাছে জিজ্ঞাসা করবো, তারা কোন অংকে এসব করেন? ২০০৯ সালের আগে কি এনজিও ঋণের কারণে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে? হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপেই কর্মমুখী।
২০০৯ সালের আগে দারিদ্র্যতার হার ৪১ শতাংশ ছিল। সেখান থেকে আমরা কমিয়ে ১৮ তে নিয়ে এসেছি। একটি পত্রিকায় অর্থনীতিবিদদের আর্টিকেল পরলাম। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্যতার হার কমেছে— শুধু নাকি দুটি ক্ষুদ্রঋণের প্রতিষ্ঠানের কারণে। সে ভদ্রলোকের নাম আমি বলবো না, আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, যদি এনজিওদের ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র্য বিমোচন হয়ে থাকে তাহলে আগে কেন হলো না?
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন