ভোটারকে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা: র‌্যাব

র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ভোট দেওয়া মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট দানে ভোটারকে বাধা দেওয়া বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা বেআইনি। এ কাজ যারা করবেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

ভোটকেন্দ্রে র‌্যাবের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে মিরপুর-২ মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ হুঁশিয়ারি দেন র‌্যাব কর্মকর্তা।

র‌্যাবপ্রধান বলেন, ইতোমধ্যে বিএনপি, জামায়াত ও কিছু দল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার রয়েছে কেউ নির্বাচনে ভোট দিতেও পারে নাও পারে। কিন্তু কেউ যদি ভোট দিতে চায় আর তাকে যদি বাধা দেওয়া হয় বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়, তা হবে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি। আর এই কাজ যারা করবে, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছি তাদের কঠোর হস্তে দমন করব। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা, নাশকতা করার সুযোগ থাকবে বলে আমি মনে করি না।

ট্রেনে আগুনসহ চলমান নাশকতার ঘটনাগুলোকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, হ্যাঁ এখন কিছু নাশকতা হয়েছে, এটা হতেই পারে। এটা হবে স্বাভাবিকভাবে। একদম একশ পার্সেন্ট আপনি সবকিছু ঠেকাতে পারবেন তা কিন্তু না। শুধু আমাদের দেশে না আমেরিকাতেও গত নির্বাচনের আগে হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত অ্যাটাক হয়েছে। ইন্ডিয়াতেও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে অনেক লোক মারাও যায়। আমি মনে করি, গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের তুলনায় এবারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমরা বিশ্বাস করি এবং আস্থা রাখি, আগামীকালকের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সক্ষম হব।

আগামীকাল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে সংস্থাগুলোর মধ্যে ‘চমৎকার কো-অর্ডিনেশন’ রয়েছে দাবি করেন র‌্যাব মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ইতোমধ্যে আমরা সেটা সম্পন্ন করেছি। আমি বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। দেখে মনে হয়েছে সব ঠিক আছে, সুন্দর পরিবেশ।

তিনি বলেন, আমি নিজে ৬টা-৭টা বিভাগ পরিদর্শন করেছি। র‌্যাবের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের ব্রিফ করেছি। বিভাগীয় পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তা যারা ছিলেন, বিশেষ করে যারা নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট, সকলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে খুরশীদ হোসেন বলেন, সারা দেশে আমাদের র‌্যাবের ইউনিট রয়েছে সেখানে আমরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রোবাস্ট পেট্রলিং (জোরালো নজরদারি) করছি।

তিনি বলেন, আগামীকাল নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের সাতশ’র মত মোবাইল পেট্রল কাজ করবে। সে সঙ্গে আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। আমাদের সাইবার পেট্রলিং-এর কাজ চলছে বিভিন্ন ধরনের গুজব প্রতিরোধ করার জন্য। আমাদের সুইপিং টিম কাজ করছে। থাকবে ডগ-স্কোয়াড, বোম স্কোয়াড থাকবে। বিশেষ কোনো জরুরি প্রয়োজন হলে আমাদের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে।