ভোট চাওয়ার নিয়ম শেখালেন মওদুদ
প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়ার অধিকার আছে তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ভোট চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী নিজের খরচে জনসভা করেন, তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সরকারি খরচে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ভোট চাইতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি ভোট চান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে। এ সময় সরকারি গাড়ি নেবেন না, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীদের সভায় আনবেন না, নিরাপত্তা থাকবে না। বিধি মেনে আপনি করুন। আপত্তি নেই। আর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে যদি আপনি ভোট চাইতে যান, তাহলে বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়াকেও ভোট চাইতে দিতে হবে। একই অধিকার দিতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী আচরণ বিধিতে আছে, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নির্বাচনের সময়ে বা নির্বাচনের জন্য ভোট চাইতে পারবে না। আরেকটা বিষয় হলো, উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সামনে নিয়ে জনগণকে প্রলুব্ধ করে, জনগণকে আশার বাণী শুনিয়ে তিনি মানুষকে বলছেন নৌকা মার্কায় ভোট দিতে। এটা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এভাবে কী করে ভোট চাইতে পারেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘একদিকে প্রধানমন্ত্রী ভোট চাইছেন, অপরদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে। এটা তো অন্যায়, অনৈতিক ও বেআইনি। সুতরাং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পারেন না। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও ব্যক্তিগতভাবে পারেন।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ইসি বলছে, তফসিল ঘোষণার পরই তাদের নাকি কর্তৃত্ব। তারা এই অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারকে একটি চিঠি দিতে পারেন না? আপনারা (ইসি) সরকারকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ প্রচার বন্ধ করুন। আর তা না হলে খালেদা জিয়াকেও একই সুযোগ দিন।’
বৃহস্পতিবার বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশি হামলাসহ কয়েকটি ঘটনার সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, ‘এই ঘটনা সারা জাতিকে হতভম্ব করেছে। কিন্তু এখানে একটি কথা আছে, একটা সরকার এটা কখন করে, সরকার কখন দিনের আলোতে এমন নৈরাজ্য ও বেপরোয়া হয়ে যায়? পতন যখন আসন্ন, তখনই এ ধরনের আচরণ করে। এই সরকারের পতন আসন্ন। সে জন্যই তারা এ ধরনের ব্যবহার করতে পারে।’
এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী সপ্তাহে খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাবেন।
ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম এ বাশারের সভাপতিত্বে ও সভাপতি এম সাইদুর রহমানের পরিচালনায় এ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, ফরিদা ইয়াসমীন, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম, লেবার পার্টির একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন